1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী উৎসব

হোসাইন আব্দুল হাই৩০ জানুয়ারি ২০০৯

বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বার্লিন৷ বুধবার এ উপলক্ষ্যে জাঁকজমক এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল বার্লিনে৷

https://p.dw.com/p/Gjrf
বার্লিন প্রাচীরের ইতিহাস জানাতে বার্লিনের পটসডামের প্লাৎস-এ স্থাপিত তথ্য কেন্দ্রছবি: picture-alliance / dpa

বার্লিনের পটসডামের প্লাৎস-এ আয়োজিত এক সমাবেশে নগরীর সিনেট প্রতিনিধি রিশার্ড মেঙ্গ বলেন, ২০০৯ সাল হচ্ছে স্মৃতির বছর এবং একই সাথে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার জন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বছর৷

সারা বছরব্যাপী প্রদর্শনী, সংলাপ, পথ শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে বার্লিনে যে সব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে৷

Galerie Berliner Mauer: Brandenburger Tor
১৯৬১ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই জার্মানিকে আলাদা করে রেখেছিল এই বার্লিন প্রাচীরছবি: AP

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে বার্ষিকী উদযাপন সপ্তাহ এবং পাথরের টুকরো দিয়ে নকল প্রাচীর তৈরি যা কমিউনিজমের পতনের ঘটনাকে স্মরণ করে ৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙ্গে ফেলা হবে৷

বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর পটসডামের প্লাৎস-এ একটি লাল তথ্য বুথ চালু থাকবে যেখানে ১৯৮৯ সাল থেকে বার্লিনে ঘটে যাওয়া সব পরিবর্তনের তথ্যাবলী পাওয়া যাবে৷

গত ২০ বছরে বার্লিনের উপর দিয়ে যে পরিবর্তনের হাওয়া বয়ে গেছে তার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি ভ্রাম্যমাণ ইন্টারএ্যাক্টিভ প্রদর্শনী বক্সে৷

বার্লিন নগরীর ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি স্থানে ঘোরার সময় ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী বক্সের ১০০ মিটার উপরে একটি বড় হিলিয়াম পূর্ণ তীর এর অবস্থান নির্দেশ করে উড়তে থাকবে৷

নগর দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, প্রদর্শনীর এই বুথগুলো দরকার কারণ মূল বার্লিন দেয়ালের কোন চিহ্ন এখন বিদ্যমান প্রায় নেই বললেই চলে৷

বার্লিনের শাসক মেয়র ক্লাউস ভোভেরাইট বলেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার পরে এখান থেকে বিভাজনের সকল চিহ্ন মুছে ফেলাটাই ছিল সবার দাবী৷

বুধবার বার্লিনের আরবিবি ইনফোরেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, সেদিন আমরা খুব আনন্দঘন পরিবেশে ছিলাম৷ সেদিন কেউ আর এক মুহূর্তও এখানে বার্লিন প্রাচীরের অস্তিত্ব দেখতে চায়নি৷ প্রাচীর এই নগরীকে বিভক্ত করেছিল৷ প্রাচীর বার্লিন শহর, এর নাগরিক এবং প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে কলংক ও লজ্জা এনে দিয়েছিল৷

তিনি বলেন, শত শত পোস্টার, মানচিত্র আর প্রদর্শনীর মাধ্যমেও এই প্রাচীরের যে বিভীষিকাময় রূপ তা তুলে ধরা কঠিন৷

অতীত পর্যালোচনা করতে গিয়ে মেয়র ভোভেরাইট বলেন, সম্ভবত দেয়ালটির সবকিছু খুব তাড়াহুড়ো করে সরানো হয়ে গেছে, এর কিছু অংশ উদাহরন হিসেবে রাখাটা হয়তো উচিত ছিল৷