1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাইডেন-শি বৈঠকের আগে তাইওয়ান নিয়ে লড়াই

১৫ নভেম্বর ২০২১

বাইডেন-শি জিনপিং শীর্ষ বৈঠকের আগে তাইওয়ান নিয়ে সুর চড়িয়েছে দুই দেশই।

https://p.dw.com/p/42zU3
তাইওয়ান, মানবাধিকার, বাণিজ্য নিয়ে অ্যামেরিকা ও চীনের মতবিরোধ বাড়ছে। ছবি: imago images/Panthermedia/Kentoh

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সোমবার ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক করবেন। তার আগে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন চীনকে সাবধান করে জানিয়ে দিলেন, তারা যেন তাইওয়ানের উপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ না দেয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে ব্লিংকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তাইওয়ান প্রণালীতে শাস্তি ও স্থায়িত্ব চায় অ্যামেরিকা।

ব্লিংকেন বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালী নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে তার সমাধান করুক চীন। সেটাই তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছা ও স্বার্থকে রক্ষা করবে।

সম্প্রতি অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। চীনের যুদ্ধবিমান সমানে তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়ছে। তা নিয়ে অ্যামেরিকা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তার প্রতিবাদ করেছে চীন। তারা জানিয়েছে, অ্যামেরিকা ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের দাদাগিরি করতে চায়।

চীনের বক্তব্য

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও অ্যামেরিকাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, তারা যে কাজ করছে, তাতে তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বিঘ্নিত হবে। শেষপর্যন্ত তা অ্যামেরিকার পক্ষে বুমেরাং হয়ে ফিরবে।

বেজিং দাবি করে, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অ্যামেরিকাও সরকারিভাবে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় না, কিন্তু ১৯৭৯ সালে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদিত আইন অনুসারে আত্মরক্ষার জন্য তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করে। সম্প্রতি অ্যামেরিকা বারবার চীনের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করে তাইওয়ানকে সমর্থন করেছে।

সোমবার বৈঠক

সোমবার সন্ধ্যায় বাইডেন-শি-র মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। সেখানে তাইওয়ান, মানবাধিকার, বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতে পারে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রতি রীতিমতো কড়া নীতি নিয়ে চলেছিলেন। বাইডেন আসার পরেও অ্যামেরিকার চীন-নীতি খুব একটা বদলায়নি। বাইডেন প্রশাসন চীনের উত্থানকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)