1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে কি ইইউ-কে চটাবেন জনসন?

৫ নভেম্বর ২০২০

ওয়াশিংটনে সম্ভাব্য পালাবদলের মুখে নতুন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে এখনো নমনীয়তা দেখাচ্ছে না ব্রিটেন৷ এই অবস্থায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3ktai
ছবি: Carolyn Kaster/AP Photo/picture alliance

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেও ব্রিটেন মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আশা প্রকাশ করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র বলেন, ভবিষ্যৎ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় থাকবে৷ তবে জনসনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের বদলে আইরিশ বংশোদ্ভূত জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে বাস্তবে দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করছে অনেক মহল৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷ এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক বাড়তি গুরুত্ব পেতে পারে৷

এমন প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির শেষ সুযোগ সম্পর্কে আশার সম্ভাবনা কমে চলেছে৷ সে ক্ষেত্রে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি কোনো চুক্তি ছাড়াই পাকাপাকি ইইউ-র সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে৷ তখন বছরে প্রায় এক লাখ কোটি ডলার মূল্যের মুক্ত বাণিজ্যের পথে শুল্কসহ নানা বাধা সৃষ্টি হবে৷

ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে বুধবার বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে এখনো গুরুতর মতপার্থক্য রয়ে গেছে৷ ইইউ-র ২৭টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি আলোচনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷ তাঁর মতে, নিজস্ব অবস্থান শিথিল করার বদলে ইইউ আট সপ্তাহ পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পথে বিঘ্ন মেনে নিতে প্রস্তুত৷ বার্নিয়ে জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জোরালো আলোচনার পরেও তেমন অগ্রগতি সম্ভব হয় নি৷ নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত যে মেয়াদ স্থির করা হয়েছে, তার মধ্যে কোনো রকম সাফল্যের আশ্বাস দিতে পারেন নি বার্নিয়ে৷ এই সময়কালের মধ্যে বোঝাপড়া সম্ভব না হলে চুক্তি অনুমোদের প্রক্রিয়া ঠিক সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে না৷

ব্রিটেনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী ডেভিড ফ্রস্টও দুই পক্ষের মধ্যে গুরুতর মতপার্থক্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন৷ তবে ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে এখনো কোনো সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

এমন অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও দুই পক্ষ প্রথমে ভিডিও লিংক ও আগামী সপ্তাহে লন্ডনে মুখোমুখি আলোচনা চালাবে৷ এক ইইউ কর্মকর্তা ব্রিটেনের একগুঁয়েমিকে বর্তমান অচলাবস্থার জন্য দায়ী করেন৷ বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক সংকটের জের ধরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, চুক্তি সম্ভব না হলে ব্রিটেনের অর্থনীতি বাড়তি সমস্যার মুখে পড়বে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি, এএফপি)