1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হারের দিনে সৌম্যর রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি

২০ ডিসেম্বর ২০২৩

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে যার থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সৌম্য সরকার করলেন রেকর্ডময় এক সেঞ্চুরি৷ পেছনে ফেললেন কিংবদন্তি টেন্ডুলকারের রেকর্ডও৷ তবে তারপরও ম্যাচ ও সিরিজে হার এড়াতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল৷

https://p.dw.com/p/4aNFx
সৌম্য সেঞ্চুরির দেখা পেলেন পাঁচ বছর পর
সৌম্যের ব্যাট উপহার দিয়েছে  ১৫১ বলে ১৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসছবি: Marty Melville/AFP/Getty Images

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড৷ নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্যের ব্যাট উপহার দিয়েছে  ১৫১ বলে ১৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস৷ ওপেন করতে নেমে আউট হয়েছেন একদম শেষ ওভারে৷ তাই দল হারলেও চোখ ধাঁধানো ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সৌম্য৷  

দল না জেতায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেও হতাশায় পুড়ছেন সৌম্য৷ এই অর্জন উপভোগ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারকে৷ বলেছেন, ‘‘সেঞ্চুরি করতে পারায় খুশি, কিন্তু দল না জেতায় হতাশ৷ যদি জিততে পারতাম, তাহলে এটা অনেক বেশি স্পেশাল হতো৷''

সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেছিলেন
২০১৮ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেছিলেনছবি: Chris Syme/AP Photo/picture alliance

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্য সেঞ্চুরির দেখা পেলেন পাঁচ বছর পর৷ ২০১৮ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩০ বছর বয়সি ব্যাটার৷ এর মাঝে ছিলেন দলে আসা-যাওয়ার মাঝে৷ গত চার বছরে খেলেছেন কেবল ৭ ওয়ানডে, তা-ও একটানা না৷ তবে সেসবে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ৷ ঘরোয়া ক্রিকেটেও ধুঁকছিলেন তিনি৷ তবে সর্বশেষ জাতীয় লিগে রেখেছিলেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত, প্রায় পঞ্চাশ গড়ে চারশর বেশি রান করেছিলেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার৷

ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যেও সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন বাংলাদেশের সৌম্য সরকারের৷ সৌম্য ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের ১৬৩ রানের রেকর্ড৷ ২০০৯ সালে শচিনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে৷ সফরকারী ব্যাটারদের বিপক্ষে কিউইদের মাঠে সব মিলিয়ে সৌম্যের এ ইনিংস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷ সর্বোচ্চ হ্যামিল্টনে ২০০৭ সালে খেলা ম্যাথু হেইডেনের ১৮১ রান৷

সৌম্যের এমন দিনেও বাকিদের ব্যর্থতায় বিশাল স্কোর পুঁজি পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের৷ প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে সৌম্যের ১৬৯ ছাড়া আর কেউ ১২ রানের বেশি করেননি৷ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়ে নামা মুশফিকুর রহিমের ৪৫৷ এই দুজন ছাড়া ২০ রানের বেশিও করতে পারেননি আর কেউ৷ এনামুল হক বিজয়, শান্ত আর লিটন দাস ফেরেন দুই অঙ্কের আগে৷ তাওহিদ হৃদয় রান আউট হন ১২ রান করে৷

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে সৌম্যর ৯১ রানের জুটিতে দলের ভিত আসে৷ ৫৮ বলে ফিফটি পেরুনোর পর জীবন পেয়েছিলেন, তবে সামলে নিয়ে পরে এক-দুই করে এগিয়েছেন৷ ৯২ রানে গিয়ে আরেকবার বাঁচেন৷ এরপর তোলেন ঝড়৷ মুশফিক কাজ অসমাপ্ত রেখে বিদায় নিলেও বাকিটা সময় দলকে একা টানতে থাকেন তিনি৷ ১১৬ বলে সেঞ্চুরি পেলেও বাকি ৩৫ বলে সৌম্য যোগ করেন আরো ৬৯ রান৷ ২২ চার, ২ ছক্কায় দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি৷

আগামী ২৩ ডিসেম্বর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ৷

এপিবি/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)