1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলোকচিত্র

১১ সেপ্টেম্বর ২০১২

আলোকচিত্র মাধ্যমকে ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা সৃষ্টি এবং অবশ্যই মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে কাজ করা - এসবই করেছে দৃক৷

https://p.dw.com/p/166YL
http://www.pathshala.net/controller.php
ছবি: pathshala.net

গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর উদযাপন করেছে দৃক৷ এই উপলক্ষ্যে ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই সংগঠনটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলম৷ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বাধার মুখে পড়েছেন তিনি এবং তাঁর দল৷ কিন্তু কখনো পিছু হটেননি৷ এই সম্পর্কে ড. আলম বলেন, ‘‘মানবাধিকারের কথা যদি বলেন, তাহলে আমরা নিজেদেরকে একটি ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখি না৷ আমরা নিজেদেরকে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখি৷ সমাজে পরিবর্তন আনার কথা ভেবেই আমরা কাজ শুরু করেছি, সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টায় আমরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছি৷''

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শারীরিকভাবেও আক্রান্ত হয়েছেন শহিদুল আলম৷ ২০০৬ সালে তাঁকে আটবার ছুরিকাঘাত করে দুর্বত্তরা৷ কেড়ে নেয় তাঁর ক্যামেরা, ল্যাপটপ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যখন আমাদের সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হয় জনগণের উপর অত্যাচারের জন্য, সম্ভবত ২০০৬ সালে, তখন অনেক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ক্ষুব্ধ ছিল৷ কিন্তু তারা নিজেরা প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি৷ সবাই তখন দৃকের কাছে আসে এবং সম্মিলিতভাবে দৃকের গ্যালারিতে বসে প্রতিবাদ করে৷ সেই ঘটনার পরের দিন আমাকে আটটি চাকু মারা হয়৷ আমার ক্যামেরা, ল্যাপটপ এগুলো নিয়ে যাওয়া হয়৷''

„The borders of the Global Village“ („Die Grenzen des globalen Dorfs“) lautet das Thema eines Vortrags des bengalischen Professors Shahidul Alam am Donnerstag, 3. Mai, auf der re:publica in Berlin. internationale Blogger-Konferenz re:publica in Berlin. Aufnahmedatum: 3. Mai 2012 Fotograf: DW/ Matthias Müller
ড. শহিদুল আলমছবি: DW

শহিদুল জানান, পরবর্তীতে দৃকে তিব্বত বিষয়ক চিত্র প্রদর্শনীতে বাধা প্রদান করে সরকার৷ ‘ক্রসফায়ার' নিয়ে প্রদর্শনীতেও বাধা দেওয়া হয়৷

সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় এভাবে বাধা পেলেও থেমে থাকেনি দৃক৷ বরং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্নভাবে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে সংগঠনটি৷ ‘ক্রসফায়ার' বিষয়ক প্রদর্শনীটিও করা হচ্ছে ভিন্নভাবে৷ পোস্টার আকারে দেশে-বিদেশে এই প্রদর্শনী করা হচ্ছে এখন৷

দৃকের ভবিষ্যত ‘বিকল্প নেতৃত্ব' নিয়ে ইতিমধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন ড. শহিদুল আলম৷ এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে একটি বড় কর্মী দল রয়েছে, জানান তিনি৷ ড. আলম বলেন, ‘‘(দৃকে) বিকল্প নেতৃত্ব দাঁড় করানোই আমাদের প্রধান কাজ এখন৷ পাঠশালাতেও তাই৷ তবে দুটো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই আরেকটি জিনিস করতে হবে৷ প্রতিষ্ঠান দুটি যাতে সম্পূর্ণ নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হতে পারে - সেই চেষ্টা করতে হবে৷''

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ মিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চান ড. আলম৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্বের সেরা মিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ মিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেদের দাঁড় করাতে চাই৷ এবং এটি পৃথিবীর মধ্যে সেরা গণমাধ্যম বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় হবে - যেমনটা আমরা আলোকচিত্রের ক্ষেত্রে হতে পেরেছি - সেটাই আশা করছি৷''

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য