1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে খেলতে আসছে আর্জেন্টিনা আর নাইজিরিয়া

২৯ এপ্রিল ২০১১

সব কিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে বাংলাদেশের ফুটবল জগতে চলতি বছরের সবচেয়ে বড় ঘটনা এবং আনন্দের সংবাদ৷ এক বাক্যে সংবাদটি হলো, ফুটবল জগতের অন্যতম শক্তি আর্জেন্টিনা আসছে বাংলাদেশে৷ সঙ্গে আছে নাইজিরিয়া৷

https://p.dw.com/p/1165V
মারাদোনার বরপুত্র মেসি আসছেন বাংলাদেশেছবি: AP

প্রস্তুতি চলছে বেশ দ্রুততার সঙ্গে৷ মাঠের সুবজ ঘাস ঠিক করা, খেলোয়াড়দের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া আর প্রচার-প্রচারণা কী করে আরও ভালো করা যায়, সেই পরিকল্পনাতেই ব্যস্ত এখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় বাফুফে, তার কর্মকর্তারা৷ যে সে দল তো আর নয়, আর্জেন্টিনা আর নাইজিরিয়া বলে কথা৷ এই দুই দল অর্থাৎ আজেন্টিনা- নাইজিরিয়া ফুটবল দল বাংলাদেশে প্রীতি ম্যাচে অংশ নেবে৷ এই ফেন্ডশিপ ম্যাচকে ঘিরে বেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ব্যস্ততা৷ মেসিদের আগমনে সাজ সাজ রব ফুটবল পাড়ায়৷ ফুটবল কর্তারা প্রচন্ড ব্যস্ত৷ এই প্রীতি ফুটবলের যাবতীয় খরচ দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম কর্পোরেট বেক্সিমকো৷

ভারতীয় কোম্পানি সেলেব্রেটির উদ্যোগেই মূলত ঐ দুই দল বাংলাদেশে আসছে৷ আর স্পন্সর হিসাবে সব খরচাপাতিও কিন্তু বেক্সিমকোর৷ গতকাল বৃহস্পতিবার সেলেব্রেটি কোম্পানির কর্তারা বাফুফে ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করেছেন৷ ঐ বৈঠকের পরেই বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসে৷ সভা শেষ করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘মেসিরা বাংলাদেশে এলে এ দেশের ফুটবল ফের জাগ্রত হবে৷'

তিনি বললেন, ‘সব ঠিকঠাক থাকলে ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেন্ডশিপ ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা ও নাইজিরিয়া৷ আর খেলোয়াড়দের যাওয়া আসার যাবতীয় খরচ বেক্সিমকো গ্রুপের৷' তিনি আরো জানালেন, ‘বেক্সিমকো হবে টাইটেল স্পন্সর৷ এই ম্যাচ আয়োজনে ক্ষতি হলে তার সমস্তটাই বেক্সিমকোর৷ আর আয় বেশি হলে তা বাফুফেকে দিয়ে দেবে তারা৷ এ টাকা খরচ করা হবে ফুটবল খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নে৷'

আগামী শনিবার ‘সেলেব্রেটি'র সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি সই করবে বাফুফে ও বেক্সিমকো গ্রুপ৷ সব কিছু প্রায় পাকাপাকি হয়ে যাওয়ায় কাজে নেমে পড়েছেন বাফুফের কর্তারা৷ বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ও নাইজিরিয়ার ফুটবলাররা থাকবেন তিনিদিন৷ এই তিনদিনে তাঁদের জন্য একটি মজাদার পরিকল্পনা ঠিক করা হবে শিগগিরই৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়