1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশ নিয়ে মালয়েশিয়া সব সময় টেস্ট কেস খেলে’

২২ জুন ২০২৪

মালয়েশিয়ায় যেতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভোগান্তি ও সেখানে যাওয়ার পর হয়রানি সম্পর্কে মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে মালয়েশিয়া সবসময় টেস্ট কেস খেলে৷’’

https://p.dw.com/p/4hNUP
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে অতিথি হিসেবে আছেন ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী এবং মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হারুন-উর-রশিদ৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

তিনি বলেন, ‘‘২০০৭-২০০৮ সালে নাম মাত্র কোম্পানিতে লোক নিয়ে আসে৷ হাজার হাজার লোক তখন রাস্তায় ছিল৷ ২০১৮ তে একই ঘটনা ঘটেছে৷ এটা একটা ধোঁকা৷’’

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে ‘মালয়েশিয়ায় আমাদের জনশক্তি’ বিষয়ে আলোচনা করতে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী ও মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হারুন-উর-রশিদ৷

সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিতে মিডলম্যান এর প্রভাব থাকায় হারুন-উর-রশিদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘‘এই প্রক্রিয়ায় মিডলম্যান কিভাবে কাজ করতেছে? সেটা মালয়েশিয়া সরকার ও বাংলাদেশ সরকার কিভাবে অনুমোদন দেয়?''

মালয়েশিয়া যেতে একজন শ্রমিকের কত টাকা খরচ হয় সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এই প্রশ্নের জবাবে ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘‘সাড়ে চার লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে৷ শ্রমিকদের কাজের কেনাবেচা চলে৷ যে কারণে খরচ বেড়ে যাচ্ছে৷'' 

অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত বিমান ভাড়াও এই খরচ বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের শ্রমিকরা যেখানে যাচ্ছে সেখানেই এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে ফেলছে৷''

একজন শ্রমিককে বিদেশে পাঠাতে এজেন্সিগুলোর লাভের বিষয়ে আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘‘আসলে লাভের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যমাত্রা নেই৷ প্রতিটি ঘটনায় ১০-২০ হাজার টাকা লাভ হলে আমি মনে করি ফেয়ার এনাফ৷''

একই প্রশ্নের উত্তরে হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘‘৭-৮টি স্তরের সবাই লাভ করছে৷ ৭৯ হাজার টাকায় একজন শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল৷ সে জায়গায় ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের দিতে হচ্ছে৷''

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সাব-এজেন্ট নির্ভর হওয়ায় সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত খরচ এমনই থাকবে বলে মনে করেন তারা৷

রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসা প্রসঙ্গে আলী হায়দার চৌধুরী বলেন,  ‘‘আমি সোশ্যাল বিজনেস হিসেবে ধরবো৷ এ বছর আমি ১৩ লক্ষ লোক বিদেশে পাঠিয়েছি৷ তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার যাদেরকে যোগ্য মনে করে তাদের লাইসেন্সগুলো ইস্যু করে৷ এখানে সব মার্কার (দলের) লোক আছে৷''

বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীবান্ধব সরকার৷ তবে কাজের মান, বিদেশে যাওয়ার খরচ কমানো ও বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের আত্মসম্মান নিয়ে থাকার দিকে আঙ্গুল তুলে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেন মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হারুন-উর-রশিদ৷

এসএইচ/এআই