1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বলসোনারোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আর্জি

১৩ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আদালতে বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলার আর্জি জানিয়েছে একটি পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা।

https://p.dw.com/p/41bVI
অ্যামাজন
ছবি: Fernando Souza/Fotoarena/picture alliance

অ্যামাজনের জঙ্গল নষ্ট করছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইয়া বলসোনারো। এই অভিযোগ বহুদিনের। বস্তুত, বলসোনারো নিজেও বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য শিল্পোদ্যোগ প্রয়োজন। এবং তার জন্য যদি জঙ্গল কাটতে হয়, তাও তিনি করবেন। গত কয়েকবছরে ব্রাজিল অ্যামাজনের জঙ্গলের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগগুলিকে সামনে রেখেই আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আদালতে বলসোনারোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আর্জি জানিয়েছে অস্ট্রিয়ার একটি পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা অলরাইস।

সংস্থার কর্মকর্তা ওয়েসেমান ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে জেলে পাঠানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু এই মামলার মাধ্যমে পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য।'' অলরাইস আন্তর্জাতিক আদালতকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, পরিবেশ ধ্বংস করা আসলে মানবতাকে ধ্বংস করার নামান্তর। এবং যারা সে কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা উচিত।

আদালতের কাছে দীর্ঘ রিপোর্ট পেশ করেছে অলরাইস। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্রাজিল গত কয়েকবছর যেভাবে অ্যামাজন ধ্বংস করেছে তা অভূতপূর্ব। অ্যামাজন ধ্বংস করে সেখানে যে কারখানা তৈরি হয়েছে তার থেকে যে পরিমাণ কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি হচ্ছে, তা ইটালি বা স্পেনের বাৎসরিক কার্বন ফুটপ্রিন্টের চেয়ে বেশি। অলরাইসের বক্তব্য, অ্যামাজন ধ্বংস করে যে কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস তৈরি করা হচ্ছে, বাকি অ্যামাজনের পক্ষে তা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এবং এর ফলে অ্যামাজন জঙ্গলেরও বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। যা পৃথিবীর অন্যতম ফুসফুস।

সংস্থাটির দাবি, যেভাবে অ্যামাজন ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে মানুষের মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। অতিরিক্ত এক লাখ আশি হাজার মানুষের  মৃত্যু হবে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই হার আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে তারা।

পরিবেশ নিয়ে বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলসোনারো। সকলের চোখের সামনে তিনি অ্যামাজন ধ্বংস করেছেন। এবং পরিবেশ ধ্বংস করার জন্য কখনো ক্ষমাও চাননি। এর আগেও বহু পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। তবে এই প্রথম তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হলো।

জন শেলটন/এসজি