1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বরেণ্য সংগীত শিল্পী অজিত রায়

Sanjiv Burman৮ সেপ্টেম্বর ২০১১

বাংলাদেশ সংগীত জগতের এক মহারথী অজিত রায় চির বিদায় নিলেন ৪ সেপ্টেম্বর৷ রবীন্দ্রসংগীতের এই নামি শিল্পী গণসংগীতও গেয়েছেন সমান দাপটে৷ রেখে গেছেন তাঁর সুরারোপিত গানের এক বিরাট সম্ভার৷

https://p.dw.com/p/12UnH
অজিত রায়ছবি: DW

অজিত রায় ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক৷ তাঁর সংগীতের মধ্য দিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি বাংলার আপামর জনতার মনে৷ তাঁর গভীর কণ্ঠসম্পদের গুণে দেশে বিদেশে পেয়েছেন তিনি অসাধারণ সমাদর৷                                                                          

অজিত রায়ের  জন্ম ১৯৩৮ সালের ২৯ জুন রংপুরে৷ বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, মা কনিকা রায় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও স্কুল শিক্ষয়িত্রী৷ খুব ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে গানে তালিম নেন তিনি৷ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ষাটের দশকে অজিত রায় চলেআসেন ঢাকায়৷ ৬৩ সাল থেকে ঢাকা রেডিওতে গান গাইতে শুরু করেন৷ টেলিভিশনেও গান গেয়েছেন৷ বেশির ভাগই রবীন্দ্রসংগীত৷ ষাটের দশকের শেষ পর্বের উত্তাল সময়ে নানা সাংস্কৃতিক সমাবেশে গণসংগীত পরিবেশন করে অজিত রায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান৷ চলচ্চিত্রের প্লে-ব্যাক গায়ক হিসেবে গান গেয়েছেন তিনি, ‘সুরজ মিয়া' নামের একটি ছবিতে অভিনয়ও করেন অজিত রায়৷                                         

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন অজিত রায়৷ তিনি ছিলেন এই বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান সুরকার ও শিল্পী এবং অন্যতম সংগঠক৷ এ সময় তাঁর সুরারোপিত একাধিক গান বাংলাদেশের অবরুদ্ধ মানুষদের ও মুক্তি যোদ্ধাদের দিয়েছে উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা৷       

স্বাধীনতা পদক সহ আরো বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী এই সংগীতকার৷ দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ফুসফুসের ক্যান্সারের সংগে লড়াই করে অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী  অজিত রায়৷                               

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক