বড়দিন উপলক্ষ্যে মজার বিস্কুট
বড়দিনের আগে জার্মানদের ঘরে ঘরেই তৈরি হয় মজার মজার বিস্কুট৷ চলুন সেরকম কয়েক ধরনের বিস্কুটের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই৷
দারুচিনির ‘তারা’ বিস্কুট
বড়দিন উপলক্ষ্যে নানা ধরনের বিস্কুট তৈরি করা হয় জার্মানিতে৷ বলা যায় ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই এই বিস্কুট তৈরির প্রস্তুতি চলতে থাকে৷ বড়দিনের বিস্কুটের মধ্যে যে ধরনের বিস্কুট বেশি তৈরি করা হয় তার মধ্যে ‘তারা বিস্কুট’ একটি৷ ময়দা বা আটা ছাড়া তৈরি এই বিস্কুটের প্রধান উপকরণগুলো হলো কাঠবাদাম ও হেজেলনাট৷ সঙ্গে ডিম, চিনি, পাউডার চিনি, সামান্য লেবুর রস আর অবশ্যই দারুচিনি পাউডার৷
নানা স্বাদের বিস্কুট
প্রায় সব জার্মান পরিবারেই নানা স্বাদের বিস্কুট তৈরি করা হয়৷ অনেকে আগে থেকে বিস্কুট তৈরি করে ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে রাখেন৷ সময়মতো আত্মীয়, বন্ধু এবং সহকর্মীদের উপহার দিয়ে থাকেন৷ ঘরে তৈরি বিস্কুটের স্বাদ যে আলাদা তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না৷ বিশেষ করে জার্মান ভাষায় ‘ওমার রেসেপ্ট’ বা নানি-দাদির রেসিপি দিয়ে তৈরি বিস্কুট খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু৷
‘স্টলেন’
স্টলেন নামে একটু শক্ত ধরনের এই কেকটি শুধুমাত্র বড়দিনের সময়েই তৈরি করা হয়৷ এই কেক ঘরে অনেকদিন থাকে আর স্বাদ অন্যান্য কেক থেকে একেবারেই ভিন্ন৷ এতে শুকনো ফলের টুকরো এবং প্রচুর কিশমিশ দেওয়া হয়৷ তবে বাড়িতে তৈরি করতে তেমন দেখা যায় না৷ বড়দিন উপলক্ষ্যে নানা খাবার বাজারে আসতে শুরু করে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই৷
ভ্যানিলা বিস্কুট
চাঁদের আকারের মিষ্টি ভ্যানিলা গন্ধের নরম এই বিস্কুট খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু আর ঘরে তৈরি করাও বেশ সহজ৷ যারা বাড়িতে বিস্কুট তৈরি করেন তাদের বেশিরভাগেরই বক্সে এই বিস্কুট থাকে৷
বাচ্চারাও বিস্কুট তৈরিতে অংশ নেয়
জার্মানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকো ঘিরে যখন ঘরে ঘরে বিস্কুট তৈরি করা হয় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির বাচ্চারাও অংশ নেয়৷ শুধু তাই নয় জার্মানির কিন্ডার গার্টেনগুলোতে বড়দিনের বিস্কুট বানানো হয় যা শিশুরা পরে বাড়িতে বাবা-মায়ের জন্য নিয়ে যেতে পারে৷
‘লেবকুখেন’
বিভিন্ন গরম মশলা দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিস্কুট৷ জার্মানির ন্যুরেমব্যার্গের তৈরি লেবকুখেনের খুবই খ্যাতি রয়েছে৷
‘বাটার কুকিস’
এই বিস্কুট তৈরি করা খুবই সহজ এবং খেতেও মজা৷ তবে শুধু একধরনের বিস্কুট খুব কম জার্মান বাড়িতে তৈরি করা হয়৷ সাধারণ এই বিস্কুট চায়ের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে৷
চকলেট বিস্কুট
যে-কোনো উৎসবের খাবার মানেই একটু ভারি খাবার৷ তাই বড়দিনও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়৷ কাজেই চকলেট, নারিকেল, বাদাম এসব উপকরণ বা বিভিন্ন গরম মশলা নানা খাবারের মতো বিস্কুটেও থাকে৷
‘স্পেকুলাৎসিউস’
বিস্কুটের নামটা একটু খটমট হলেও খেতে কিন্তু বেশ স্বাদ৷ তবে খুব কমই ঘরে তৈরি করা হয়৷ বড়দিন উপলক্ষ্যে প্রতিবছর এই বিস্কুটকেই প্রথম বাজারে আসতে দেখা যায়৷ সেপ্টেম্বর মাসে দোকানের স্পেকোলাৎসিউসই মনে করিয়ে দেয় সামনে বড়দিন!