1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বখাটের উৎপাতে আবার এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

১০ এপ্রিল ২০১০

গাইবান্ধার নুরিনা আক্তার ১৪ বছর বয়সেই নিজের জীবন শেষ করে দিল৷ ওদিকে ঢাকায় হকাররা ফুটপাতের বরাদ্দ পাচ্ছে৷ আর নদীর পাড় ভাঙার হদিশ দিচ্ছে স্যাটেলাইট ইমেজ৷ শুক্রবার বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার মিশ্র সম্ভার৷

https://p.dw.com/p/MsKr
নদীর বিস্তারই তার বিপদছবি: DW

বিডিনিউজের খবর অনুযায়ী বখাটেদের উৎপাতের জন্য আবার এক কিশোরীকে প্রাণ দিতে হয়েছে৷ গাইবান্ধার এক মাদ্রাসার ছাত্রী নুরিনা আক্তার মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজের ওড়নার ফাঁস গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ ঘটনাটি ঘটে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নিশ্চিতপুর গ্রামে৷ নুরিনা পাশের পলাশবাড়ি উপজেলার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল৷ বহুদিন ধরে তাদের গ্রামের এক বখাটে ছেলে নুরিনাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল৷ মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে নুরিনাকে প্রেম নিবেদন করত সে৷ নুরিনা ব্যাপারটি তার বাবাকেও জানিয়েছিল৷ এমনকি নুরিনার বাবা ছেলেটির বাবা ও বড়ভাইকে তা' জানান৷ কিছুতেই কোনো লাভ হয়নি৷ বৃহস্পতিবার ছেলেটি নুরিনাদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং নুরিনা রাজি না হলে তাকে গালিগালাজ করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷ নুরিনা তার পরদিন দুপুর দু'টো নাগাদ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ - বিডিনিউজ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, গত সপ্তাহেও রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম ইলোরা বখাটেদের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে৷ তার দু'দিন পরে কিশোরগঞ্জে দশম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম আক্তার পিংকি'কে দৃশ্যত এক বখাটে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়, ফলে পিংকি'র মৃত্যু ঘটে৷

হকারদেরই ফুটপাত বরাদ্দ

শেষমেষ হকারদেরই ফুটপাত বরাদ্দ দিল ঢাকা সিটি করপোরেশন৷ তা'ও আবার কাগজে-কলমে, জানাচ্ছে দৈনিক প্রথম আলো৷ এই অনুমোদনের ফলে তারা এখন ফুটপাত দখল করেই ব্যবসা করতে পারবে, এমনকি অস্থায়ী দোকানও বানাতে পারবে৷ নিউমার্কেট এবং গাউছিয়া এলাকায় মোট ৩,৭০০ বর্গফুট ফুটপাত বরাদ্দ দিয়েছে ডিসিসি৷ প্রতি বর্গফুট ফুটপাতের জন্য প্রদেয় হল ১০ টাকা৷ অর্থাৎ ফুটপাত বরাদ্দ থেকে ডিসিসি'র মোট আমদানি ৩৭,০০০ টাকা৷ তবে গোপনে নাকি কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং হকার মহল৷ অনুমোদনের প্রক্রিয়াও শেষ করা হয় অতি গোপনে৷ মেয়র স্বয়ং অনুমোদন দিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়েও দ্বিবিধ ভাষ্য আছে৷

তীর ভাঙা ঢেউ

ডেইলি স্টার-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী মর্ফোলজিস্টরা বলছেন যে, এ'বছর যমুনা এবং পদ্মা নদীর ৩৮টি পয়েন্টে ইরোজন অর্থাৎ পাড় ভাঙা, মাটিক্ষয় ইত্যাদির ফলে অন্তত ১৬,৬৫০ জন মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে৷ নদীর এই গ্রাস চলবে মোট ১৪৫ কিলোমিটার তীরভূমি ধরে৷ যমুনা, গঙ্গা এবং পদ্মা নদীর স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে নাকি এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ পদ্মার চেয়ে যমুনা প্রায় দ্বিগুণ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে৷ পাড় ভাঙার ফলে বিপন্ন হবে মোট ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দু'টি হাট, সাতটি সরকারি দপ্তর, একটি বেসরকারি কার্যালয় এবং চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র৷ নদীগুলি ক্রমেই আরো চওড়া হচ্ছে৷ কোনো কোনো স্থানে নদীর প্রস্থ ১০০ মিটার বেড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে৷ ডেইলি স্টারের বিবরণ অনুযায়ী চারটি স্থানে বাঁধের ক্ষতি হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই