ফ্রান্সের ম্যাকডোনাল্ডস’এ আর বার্গার নয়
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ফ্রান্সের ম্যাকডোনাল্ডস রেস্তোরাঁয় সাজ সাজ রব৷ কিন্তু সেই আয়োজনে চিরপরিচিত বার্গার বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নেই৷ এটাও কি ভাবা সম্ভব? কিন্তু সেটাই ঘটছে৷ বিশ্ববিখ্যাত এই চেন শপটি প্যারিসে বার্গারকে বিদায় জানিয়েছে এবং মনোনিবেশ করেছে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে৷
ফ্রান্সের জোস বোভ৷ তাঁর দিকে তাকালে প্রথমেই চোখে পড়ে গালের দু'পাশে ঝোলানো লম্বা গোঁফ৷ চিজ বা পনির তৈরি করেন৷ বিশ্বখ্যাত ফাস্টফুড শপটির খাবারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ১৯৯৯ সালে তিনি ম্যাকডোনাল্ডস এর একটি দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক এই কোম্পানির খাবারের ভিতরের চেহারা তুলে ধরেছিলেন৷ ফরাসি ভাষায় বলেছিলেন, ‘মালবুফ' – যার অর্থ স্বাস্থ্যসম্মত নয় এমন ধরণের ‘খারাপ খাবার'৷ কিন্তু তারপরও তিনি ফরাসিদের দূরে রাখতে পারেননি ম্যাকডোনাল্ডস'এর বার্গার এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া থেকে৷
যদিও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করা এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে ফরাসিদের বেশ সুনাম রয়েছে, তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের পর এই দেশের মানুষ ম্যাকডোনাল্ডস'এর খাবারের অন্যতম ক্রেতা৷ ফ্রান্সে'এ ম্যাকডোনাল্ডস'এর এগারোশ'র বেশি দোকান রয়েছে৷ যেখান থেকে ২০১০ সালে আয় হয় প্রায় ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরো৷
এখন এই কোম্পানিটি স্থানীয়দের চাহিদার দিকে নজর রেখে বার্গার-বিহীন নতুন খাদ্য তালিকা তৈরি করেছে৷ ফ্রান্সের ম্যাকডোনাল্ডস রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে প্রায় ১২০টিতে রয়েছে ম্যাক ক্যাফের কাউন্টার, যেখানে কফি এবং পেস্ট্রি বিক্রি করা হয়৷ অনেকটা সেভাবেই ‘ম্যাক ক্যাফে লাইভ' পরিবেশন করছে সালাদ জাতীয় খাবার৷ পঁচিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সের লোকজনই মূলতঃ এর ক্রেতা৷ প্রথমে এখানে নেওয়া হয় সালাদের অর্ডার৷ তারপর খাবার শেষ করা যেতে পারে আইসক্রিম দিয়েও৷ আর মাত্র আট ইউরোর মধ্যেই মিলছে এখানকার বেশিরভাগ সালাদের ডিশ৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন