ফ্রান্সে কৃষকদের কিছু দাবি মানলো সরকার, অবরোধ উঠছে
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪কৃষকদের কর, বিধিনিষেধ ও আয় সংক্রান্ত একাধিক দাবি সরকার মেনে নেবে বলে জানিয়েছে। তারপরই ইয়ং ফার্মার্স(জেএ) নেতা গেইলট জানিয়েছেন, সরকারের এই প্রতিশ্রুতির পর কৌশল বদলের সময় এসেছে। ।
তিনি জানিয়েছেন, ''আমরা আর রাস্তা অবরোধ করব না। আমরা নতুনভাবে সকলকে একত্রিত করব।'' গেইলট যখন এই কথা বলছেন, তখন তার পাশে ছিলেন সবচেয়ে বড় কৃষক ইউনিয়ন এফএনএসইএ-র নেতা আর্নদ রুশো।
রুশো জানিয়েছেন, ''এখন বিক্ষোভকারীদেরএটা বলার সময় এসেছে যে, তারা যেন ঘরে ফিরে যান। তাদের নিজেদের কাজ করার আছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা বাড়ির বাইরে আছেন।''
ব্রাসেলসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেছেন, ''ইউরোপের কৃষকরা প্রবল সংকটে পড়েছে। তাই নিয়ম বদল করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।''
'রাস্তা অবরোধ করতে দ্বিধা করব না'
গত দুই সপ্তাহ ধরে এই কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে ফ্রান্স উত্তাল। তবে সরকার জানিয়েছে, তারা নিয়মকানুন সরল করবে, কৃষকদের অর্থসাহায্য করবে, সস্তা বিদেশি জিনিসের থেকে তাদের বাঁচাবে।
রুশো বলেছেন, ''সরকার আমাদের কথা শুনেছে এবং আমাদের সংকটটা বোঝার চেষ্টা করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে, কিছু জরুরি ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে।''
তার আশা, প্রাথমিকভাবে এর সুফল পাওয়া যাবে। এই মাসের শেষে কৃষি বাণিজ্য মেলা শুরু হবে। তার আগেই কৃষকরা সরকারি ব্যবস্থায় লাভবান হবেন।
তিনি এটাও বলেছেন, যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না হয়, তাহলে তারা আবার অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে এক মুহূর্ত দেরি করবেন না।
ইইউ নিয়ে হতাশা
ইউনিয়নের কথা মেনে কৃষকরা তাদের বিক্ষোভ শেষ করে বাড়ি ফিরবেন কিনা, তা এবার বোঝা যাবে। তবে তারা ইইউ-র নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাছাড়া তাদের অনেক দাবি এখনো মানা হয়নি।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। তারপর ইউক্রেন থেকে সস্তায় সবজি এসে ইউরোপের কৃষকদের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের কৃষিজ জিনিসের আমদানি বেঁধে দিতে পারে ইইউ।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)