1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে উগ্র দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে ঐক্যের উদ্যোগ

২ জুলাই ২০২৪

ফ্রান্সে রোববারের নির্বাচনে আরএন দলের সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণে ঐক্যের চেষ্টা করছে মধ্য ও বামপন্থি শিবির৷ উগ্র দক্ষিণপন্থিদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছেন৷

https://p.dw.com/p/4hlDU
প্যারিসে উগ্র-ডানপন্থি বিরোধী সমাবেশ
রোববারের নির্বাচনে বাম শিবির দ্বিতীয় ও মাক্রোঁর শিবির তৃতীয় স্থান দখল করেছে৷ একাধিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বিরোধী ঐক্য সম্ভব হলে আরএন দল সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে নাছবি: Fabrizio Bensch/REUTERS

ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজের দলের ভরাডুবি ও উগ্র দক্ষিণপন্থি শিবিরের জয়ের পর তিনি আচমকা আগাম সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা করেন৷ কিন্তু সেই চালে কাজ হয় নি৷ গত রোববার প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়ে আবার ভালো ফল করেছে উগ্র দক্ষিণপন্থি ‘রাসঁব্লে নাসিওনাল’ বা আরএন দল৷ তবে কোনো শিবির সরাসরি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আবার ভোটগ্রহণ হবে৷ ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনে এই দ্বিতীয় সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে আসছে বাকি দলগুলি৷ উগ্র দক্ষিণপন্থি শক্তির উত্থান রুখতে তারা মতবিরোধ ভুলে ঐকবদ্ধ হয়ে ভোটারদের সামনে উপস্থিত হয়েছে৷ এবারও সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে৷

প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর মধ্যপন্থি শিবির ও বাম দলগুলির জোট সোমবার সংসদ নির্বাচনের আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের জন্য রণকৌশল স্থির করার উদ্যোগ শুরু করেছে৷ রোববারের নির্বাচনে বাম শিবির দ্বিতীয় ও মাক্রোঁর শিবির তৃতীয় স্থান দখল করেছে৷ একাধিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বিরোধী ঐক্য সম্ভব হলে আরএন দল ২৮৯ আসনে জয়লাভ করে সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না৷ রোববার ফল প্রকাশের পর মাক্রোঁ উগ্র দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণতান্ত্রিক জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রার্থীরা দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সুযোগ পাচ্ছেন৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি-র সূত্র অনুযায়ী ইতোমধ্যেই মধ্যপন্থি ও বাম শিবিরের দেড়শোরও বেশি প্রার্থী সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

আরএন দল ভোটারদের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় পর্যায়েও জোরালো সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছে৷ প্রথম পর্যায়ে সংসদে ৭৬টি আসনে চূড়ান্ত ফল স্থির হয়ে গেছে৷ বাকি আসনগুলি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেই দল৷ কাঙ্খিত ফল পেলে ফ্রান্সের আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো উগ্র দক্ষিণপন্থি দল ক্ষমতায় আসবে৷ মাক্রোঁ ২০২৭ পর্যন্ত নিজের কার্যকাল শেষ করলে তাঁকে এমন এক সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে৷ আগাম নির্বাচন ডাকার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ আগামী রোববার আরএন চূড়ান্ত সাফল্য পেলে তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷

ফ্রান্সেএমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, ফ্রান্সে চরম দক্ষিণপন্থিদের সাফল্য উদ্বেগের কারণ৷ তিনি বলেন, আরএন দল ইউরোপকে সমাধানের বদলে সমস্যা হিসেবে দেখে৷ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক এই ফলকে ফ্রান্স ও ইউরোপের জন্য ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ তবে ইটালির চরম দক্ষিণপন্থি প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি ও হাঙ্গেরির উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সের নির্বাচনের ফলকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ 

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান