1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড,

১৭ জুন ২০১৭

পাকিস্তানে এক ব্যক্তি ফেসবুকে মহানবী এবং তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে মন্তব্য করায় সন্ত্রাস-দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে৷ অধিকার কর্মীদের অভিযোগ, ধর্ম অবমাননার নামে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে৷

https://p.dw.com/p/2eoVI
ছবি: picture alliance/dpa/epa/R. Khan

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখার জন্য এই প্রথম পাকিস্তানে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো৷ ১০ জুন ভাওয়ালপুরে একটি সন্ত্রাস-দমন আদালত তৈমুর রাজার বিরুদ্ধে এই রায় দেয়৷ তৈমুরের আইনজীবী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে সরকারি এক কর্মকর্তার সঙ্গে তৈমুরের বাক-বিতণ্ডা হয়৷ সেই সূত্র ধরে ঐ কর্মকর্তা এই মামলাটি করেন৷'' আইনজীবী তৈমুরকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন৷ পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট গত বছর ভাওয়ালপুর থেকে তৈমুরকে গ্রেফতার করে৷ শিয়া সম্প্রদায়ের তৈমুরের বিরুদ্ধে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এবং তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷

মাত্র কয়েকদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে একজন কলেজ শিক্ষককে আটক করা হয়৷ আদালত তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে৷

মানবাধিকার কর্মীদের নিন্দা:

কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন তৈমুরের এই শাস্তির নিন্দা জানিয়েছে৷ তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি৷ ইসলাম নিয়ে বিদ্বেষমূলক বিভিন্ন পোস্টিং নিয়ে পাকিস্তানের সরকার সম্প্রতি ফেসবুকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে৷

চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানের মারদান শহরের আবদুল ওয়ালি খান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী মাশাল খানকে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থীরাবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পিটিয়ে হত্যা করে৷ ওই ঘটনার পরে পাকিস্তানে ধর্ম অবমননা বিষয়ক আইন সংশোধনের আহ্বান জানান অধিকারকর্মীরা৷

#JusticeForMashal: Speaking out against Pakistan’s blasphemy laws | Follow the Hashtag

প্রগতিশীলদের বক্তব্য:

পাকিস্তানের প্রগতিশীল লেখকদের অভিযোগ, ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী এবং সরকার একই ধরণের আচরণ করছে৷ তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশে ব্লগারদের হত্যার পর পাকিস্তানে প্রগতিশীল ব্লগার, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং কর্মীদের মত প্রকাশের উপর চাপ সৃষ্টি করছে সরকার৷ আর এই সুযোগে উগ্রপন্থিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রগতিশীল লেখকদের হুমকি দেয়ার সাহস পাচ্ছে৷ পাকিস্তানের লেখক এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকটিভিস্ট আরশাদ মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘ধর্ম অবমাননার অজুহাতকে হাতিয়ার বানিয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে৷ প্রগতিশীল লেখকদের প্রতি নজর না রেখে এই শক্তি যদি ইসলামি জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে ব্যবহার করা হয়, তবে তা দেশের অনেক উপকারে আসবে৷''

শামিল শামস/এপিবি

আপনার কোন মতামত থাকলে লেখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য