1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তির ভালো-মন্দ

১৮ জানুয়ারি ২০২১

গত পাঁচ বছরে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটেছে৷ একদিক বিবেচনায় এতে সুবিধা হলেও এত নজরদারির বিপদ সম্পর্কেও সচেতন করে দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা৷ এর মধ্যে আসছে ইমোশন রিকগনিশন প্রযুক্তি৷

https://p.dw.com/p/3o43c
KI und Gesichtserkennung
ছবি: Imago Images/H. Lucas

২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড মুভি ‘মাইনোরিটি রিপোর্ট'-এ ২০৫৪ সালের পৃথিবী কেমন হতে পারে তা দেখানো হয়েছে৷ দেখা গেছে, অভিনেতা টম ক্রুজ পালানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু তার উপর সবসময়, সব জায়গায় নজর রাখা হচ্ছে৷

মুভিতে দেখানো সেই ছবি অবশ্য এখনই বাস্তব হয়ে উঠছে৷ চীনে কয়েকশ মিলিয়ন ক্যামেরা দিয়ে নাগরিকদের উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তিজড়িয়ে আছে৷

এছাড়া জার্মানিতে বিমানবন্দরে যাত্রীদের বায়োমট্রিক ছবি সম্বলিত পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে৷ জার্মান কোম্পানি ‘কগনিটেক' এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে৷ বিমানবন্দরের ই-গেট, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কিংবা ভিডিও সার্ভিলেন্স, যে কোনো জায়গায় ড্রেসডেনের এই কোম্পানির সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়৷

কগনিটেক জিএমবিএইচ কর্মকর্তা এলকে অব্যার্গ বলেন, ‘‘সফটওয়্যার প্রথমে মুখের কয়েকটি নির্দিষ্ট অংশ খেয়াল করে৷ দুই চোখের মধ্যে দূরত্ব, নাক থেকে চোখের দূরত্ব, মুখগহবরের কোণা এবং মুখের সারফেস, যেমন উঁচু, নীচু অংশ৷ এসব তথ্য মিলিয়ে প্রতিটি মুখের একটি প্রোফাইল করা হয়৷''

মুখ চেনানো প্রযুক্তির ভালো-মন্দ

ডিজিটাল প্রোফাইলিংয়ের কারণে সফটওয়্যার বুঝতে পারে যে, দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি কি সত্যি পাসপোর্টে ছবি থাকা সেই মানুষ, নাকি শুধুই একটা ছবি?

এই প্রযুক্তি দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে৷ ফলে মুখের অল্প একটু অংশ দেখেই সফটওয়্যার বলে দিতে পারে পাসপোর্টের ছবির মানুষটি একই মানুষ কিনা৷

সিদ্ধান্ত জানাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড৷ দ্রুত এবং সঠিক৷ অব্যার্গ বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে কখনও শতভাগ নির্ভুল সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে না৷ তবে গত পাঁচ বছরে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটেছে বলে মনে করা হয়৷ কারণ নির্ভুলতার হার এতটাই বেড়েছে যে, এটা এখন খুব বিশ্বস্তভাবে ব্যবহার করা যায়৷''

ঠিক কতখানি নির্ভরযোগ্য? ২০১৭ সালে বার্লিনের এক স্টেশনে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, সফটওয়্যার ভেদে সফলতার হার ছিল ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ৷ ফলে কর্তৃপক্ষ এটি নিয়মিত ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

তবে আইটি বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মার্কুস বেকেডাল এমন নজরদারির বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক মানুষই প্রযুক্তির এমন উন্নতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেননা৷ তাছাড়া নজরদারি অনেকটা গোপনে করা হচ্ছে, যার মানে হলো আমরা আসলে জানিনা, আমাদের উপর ঠিক কতখানি নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ এটা বিপজ্জনক, কারণ বিস্তারিত না জানায় মানুষ ততটা প্রতিবাদ করছে না৷ ফলে নজরদারি বেড়ে চলেছে৷''

এখানেই শেষ নয়৷ এখন আবার ইমোশন রিকগনিশন প্রযুক্তি আসছে, যা দিয়ে মানুষের মনের অবস্থা বোঝা যাবে৷

টোমাস হিলেব্রান্ডট/জেডএইচ