1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনি বইয়ের দোকানে অভিযানে জার্মান রাষ্ট্রদূতের নিন্দা

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পূর্ব জেরুজালেমে একটি ফিলিস্তিনি বইয়ের দোকানে ইসরায়েলের পুলিশি অভিযানের সমালোচনা করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টেফেন সাইবার্ট৷ অভিযানে দোকানটির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4qK1t
ইসরায়েলি পুলিশের হাতে আটক হওয়া ফিলিস্তিনি আহমেগ ও মাহমুদ মুনা
আহমেদ ও মাহমুদ মুনাকে বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে আটক করা হয়ছবি: Mahmoud Illean/AP Photo/picture alliance

অন্যান্য দেশের কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে সমালোচনায় অংশ নেন স্টেফেন সাইবার্ট৷ দোকানটির দুটি শাখায় অভিযান চালিয়ে আহমেদ ও মাহমুদ মুনাকে বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে আটক করা হয়৷ পূর্ব জেরুজালেমে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছিলো এই দোকানটি৷

স্টেফেন সাইবার্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, ‘‘আমি অন্যান্য কূটনীতিকদের মতোই এই বইয়ের দোকানটিতে বই খুঁজতে যেতাম৷'' দোকানটির মালিক মাহমুদের স্ত্রী মাইমুনা জানান, গ্রেপ্তারের আগে ইসরায়েলের পুলিশ দোকানটিতে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনের নাম ও পতাকা সম্বলিত অনেক বই নিয়ে গেছে৷ ইসরায়েলের পুলিশ বইয়ের লেখা বুঝতে গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে বলে জানান মাইমুনা৷

ইসরায়েলের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায় দোকানটিতে পাওয়া অনেক বইতেই সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আহমেদ ও মাহমুদ মুনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত ফ্রান্সেস্কা আলবানেজও তার ব্যক্তিগত এক্স অ্যাকাউন্টে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘জেরুজালেমের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনুগ্রহ করে মুনার পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং এই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রটিকে রক্ষা করুন৷''

ইসরায়েলি অধিকৃত জেরুজালেমে ৪০ বছর ধরে এই বইয়ের দোকানটি বুদ্ধিবৃত্তিক পরিচর্যার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল৷ তিনতলা এই বইয়ের দোকনাটিতে মূলত আরবি ও ইংরেজি ভাষার বই পাওয়া যেত৷ যার মধ্যে অনেক ইসরায়েলি ও ইহুদি লেখকের বইও রয়েছে৷

ফেলিক্স টামসুট/এসইএচ