ফিরে দেখা: ২০১৬ সাংবাদিকদের জন্য যেমন ছিল
সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)-র বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিকরা ২০১৬ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এ বছরই সর্বোচ্চ সংখ্যক সাংবাদিককে কারাবন্দি করা হন৷
যারা তালিকা বানিয়েছে
সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক বেসরকারী এবং অলাভজনক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) যাত্রা শুরু করে ১৯৮১ সালে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাকস্বাধীনতার পরিস্থিতি এবং সাংবাদিকদের উপরে হামলার তথ্যাদি বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরে সংগঠনটি৷
কারাবন্দি ২৫৯ সাংবাদিক
সিপিজে-র বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে কমপক্ষে ২৫৯ সাংবাদিককে কারাবন্দি করা হয়৷ আগের বছর এই সংখ্যাটি ছিল ১৯৯৷
শীর্ষে তুরস্ক
সাংবাদিকদের কারাবন্দি করা দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের অবস্থান এক নম্বরে রয়েছে৷ গতবছরের এক ডিসেম্বর অবধি এক বছরে ৮১ সাংবাদিককে আটক করেছে দেশটি৷ গত জুলাইয়ে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনার পর সন্দেহের বশে সাংবাদিকদের আটকসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম বন্ধও করে দিয়েছে সেই দেশ৷
দ্বিতীয় অবস্থানে চীন
তুরস্কের পরই রয়েছে চীন৷ ২০১৬ সালে কমপক্ষে ৩৮ সাংবাদিককে কারাবন্দি করেছে সেদেশ৷ দেশটিতে সরকারবিরোধী যে কোনো আন্দোলনের প্রতিবেদন প্রকাশে কড়াকড়ি রয়েছে৷ আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোও চাপা দেয়ার চেষ্টা করে দেশটি৷
তৃতীয় স্থানে মিশর
গতবছর ২৫ সাংবাদিককে আটক করেছে মিশর৷ কিছুক্ষেত্রে সাংবাদিকতা নয় বরং অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্প্রক্ত থাকার দায়ে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সে’দেশের সরকার৷
প্রথম পাঁচে নেই ইরান
তবে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের তালিকায় প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে নেই ইরান৷ বরং অতীতে কারাবন্দি সাংবাদিকদের কয়েকজন রেহাই পেয়েছে বছরটিতে৷
বাংলাদেশের দুই সাংবাদিক কারাবন্দি
বাংলাদেশের দু’জন সাংবাদিক এখনো কারাবন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিজে৷ সাপ্তাহিক ব্লিটস পত্রিকার সম্পাদক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জেলে রয়েছেন৷ অন্যদিকে, একুশে টেলিভিশনের মালিক আব্দুস সালাম জেলে আছেন ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে৷
প্রতিবেদন: ঋতিকা পান্ডে/এআই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ