1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিনসেন ফাইল: সিরিয়ায় বেআইনি গ্যাস পাচার

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিরিয়ায় বেআইনি ভাবে পেট্রোলিয়াম পাচার করতে গিয়ে জ্বলে ছাই হয়ে গিয়েছিল দুইটি জাহাজ। ফিনসেন ফাইল থেকে নতুন তথ্য উদ্ধার।

https://p.dw.com/p/3irgT
ছবি: picture-alliance/dpa/XinHua/Untersuchungsausschuss der Russischen Föderation

একের পর এক কেলেঙ্কারি ধরা পড়ছে ফিনসেন ফাইল থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বড় কেলেঙ্কারির তথ্য বহু দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়নি। ৮৮টি দেশের প্রায় ৪০০ সাংবাদিকের অনুসন্ধানে এ বার উঠে এসেছে নতুন তথ্য। সিরিয়ায় গোপনে ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। জাতিসংঘের নিষেধ উপেক্ষা করে সেই ব্যবসা চালাতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে বহু সাধারণ মানুষকে।

সম্প্রতি ফিনসেন ফাইল থেকে জানা গিয়েছে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ক্রিমিয়া সমুদ্রের কাছে তরল জ্বালানি গ্যাস ভর্তি দুইটি জাহাজ রাতারাতি পুড়ে যায়। তদন্তের পর জানা যায়, ওই দুইটি জাহাজেই পেট্রোলিয়াম জাত গ্যাস ছিল। সমুদ্রের মধ্যেই একটি জাহাজ অন্য জাহাজে গ্যাস স্থানান্তর করছিল। তখনই বিস্ফোরণ হয়। সম্পূর্ণ জ্বলে যায় দুইটি জাহাজই। ফিনসেন ফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, ওই দুইটি জাহাজের একটির সিরিয়ায় বেআইনি ভাবে পেট্রোলিয়াম দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। যদিও এ ধরনের দ্রব্য সিরিয়ায় সরবরাহো করা কিংবা সিরিয়া থেকে নিয়ে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অ্যামেরিকা এবং জাতিসংঘ।

যে দুইটি জাহাজ ওই বেআইনি কাজে যুক্ত হয়েছিল, তার একটির নাম ক্যান্ডি এবং অন্যটির নাম মায়েস্ত্রো।  দুইটি জাহাজই আন্তর্জাতিক সংস্থা মিলেনিয়াম এনার্জির। বেআইনি কাজের জন্য অ্যামেরিকা এই সংস্থাকে বহু দিন আগেই ব্ল্যাক লিস্টে রেখেছিল। কিন্তু তাতেও এই সংস্থার কাজ আটকায়নি। দিনের পর দিন একাধিক বেআইনি কাজ তারা করে গিয়েছে নাম পরিবর্তন করে। বস্তুত, ক্যান্ডি এবং মায়েস্ত্রো জাহাজের অধিকাংশ কর্মী জানতেনই না তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, তাঁরা অধিকাংশই ছিলেন ভারত এবং তুরস্কের কর্মী। যাওয়ার আগে তাঁদের বলা হয়েছিল, লিবিয়ায় জাহাজ নিয়ে পৌঁছতে হবে। কিন্তু জাহাজে উঠে তাঁরা জানতে পারেন, সিরিয়া যেতে হবে।

এখানেই শেষ নয়, জাহাজ দুইটি বেআইনি ভাবে সমুদ্রের মাঝখানে তরল গ্যাস ট্রান্সফার করছে, এ কথা যাতে কেউ জানতে না পারে, এবং তারা কোথায় যাচ্ছে, তা যাতে সকলের দৃষ্টির আড়ালে থাকে, তাই দুইটি জাহাজেরই নেভিগেশন সিস্টেম বন্ধ করা ছিল। আগুন লাগার পরেও সে কারণে রেসকিউ টিম বুঝতেই পারেনি কোথায় এমন ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ কর্মীকেও সে কারণে বাঁচানো যায়নি। সব মিলিয়ে ১৪ জন আহত কর্মীকে পরে উদ্ধার করা হয়।

ফিনসেন ফাইল থেকে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সংস্থা কী ভাবে জড়িয়ে ছিলেন বা আছেন নানা বেআইনি কাজের সঙ্গে। সব চেয়ে বড় কথা, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তাঁরা অর্থ লেনদেন করেছেন। এটিও তেমনই একটি বেআইনি কাজের উদাহরণ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)