1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইন্দোনেশিয়া

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার রাস্তায় ছাত্ররা

১২ এপ্রিল ২০২২

২০২৪ সালের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে, এই অভিযোগে গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ছাত্ররা।

https://p.dw.com/p/49oJf
ইন্দোনেশিয়া
ছবি: Willy Kurniawan/REUTERS

তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারেন, এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে উত্তাল ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। সোমবার রাজধানী জাকার্তা, দক্ষিণ সুলাওয়েসি, পশ্চিম জাভা-সহ একাধিক জায়গায় হাজার হাজার ছাত্র রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাদের বক্তব্য, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হবে, দেশের সংবিধানকে সম্মান করতে হবে।

নারীদের দারিদ্র্যমুক্ত হতে সহায়তা করছেন যে অ্যাক্টিভিস্ট

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক একনায়কের শাসন দেখেছে ইন্দোনেশিয়া। প্রেসিডেন্ট সুহার্তো ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন সেখানে। বস্তুত, সুহার্তোকে উৎখাত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ছাত্রদের। গোটা দেশ সে সময় ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বর্তমান বিক্ষোভকারীদের ধারণা, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো ভোট পিছিয়ে দিতে পারেন। শাসনকাল বাড়িয়ে নিতে পারেন। ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান বলে, টানা দুই টার্মের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট থাকতে পারে না। উইডোডো-র এখন দ্বিতীয় টার্ম বা অধ্যায় চলছে। ফলে সংবিধান বদলে তিনি নিজের সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত দেননি।

ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন, ক্যাবিনেটের দুই মন্ত্রী। প্রেসিডেন্টের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত, এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে করেছেন তারা। তার পরেই দেশ জুড়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্টরা অবশ্য জানিয়েছেন, ক্যাবিনেটের বৈঠকে উইডোডো বলেছেন, তিনি সংবিধান বদলের পক্ষে নন। ২০২৪ সালেই নির্বাচন হবে। আপাতত সকলের অর্থনীতির দিকে নজর দেওয়া উচিত।

ছাত্রদেরও বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক। একইসঙ্গে সরকার যেন দেশের সংবিধানকে সম্মান দেয়। তা বদল করার চেষ্টা হলে বিক্ষোভ আরো বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে ছাত্ররা।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)