1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রস্তর যুগের চিউইংগাম উদ্ধার

১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

চিউইংগামের ভিতরে লুকিয়ে ৫ হাজার বছর আগের জিনতত্ত্ব৷ সম্প্রতি স্ক্যানডেনেভিয়ায় এক খননকার্য থেকে পাওয়া ওই চিউইংগাম সাড়া ফেলে দিয়েছে৷ মিলছে ওই সময়ের নতুন নতুন তথ্য৷

https://p.dw.com/p/3Uzrv
ছবি: AFP/T. Jensen

প্রস্তর যুগে কি চিউইংগাম খাওয়া হতো? আপাত অবান্তর এই প্রশ্নের এখন উত্তর দিতে পারেন বিজ্ঞানীরা৷ সম্প্রতি স্ক্যানডেনেভিয়ার ডেনমার্কে খননকার্য চালিয়ে প্রস্তর যুগের বেশ কিছু জিনিস সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তারই মধ্যে পাওয়া গিয়েছে বার্চ গাছের জমে যাওয়া রসের এক খণ্ড৷ যা চিউইংগামের মতো ব্যবহার করেছেন এক যুবতী৷

কী করে জানা গেল অত বছর আগে ওই জমে যাওয়া আঠা চিউইংগাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল? বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরীক্ষা করে ওই গামের ভিতর থেকে এক যুবতীর সম্পূর্ণ জিন কাঠামো পাওয়া গিয়েছে৷ এই প্রথম হাড় ছাড়া অন্য কোনও বস্তু থেকে আদিম মানুষের সম্পূর্ণ জিন কাঠামো মিলল৷ গামটি থেকে জানা যাচ্ছে, ৫ হাজার বছর আগে প্রস্তরযুগের ওই যুবতীর গায়ের রং ছিল কালো৷ চুলও কালো৷ তবে চোখের মণি দুটি ছিল নীল৷ সম্ভবত ওই যুবতী ছিল শিকারী৷ যদিও তাঁর যে গঠন পাওয়া গিয়েছে তা অনেক বেশি ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের মানুষের সঙ্গে মেলে, স্ক্যানডেনেভিয়ার সঙ্গে নয়৷ 

বিজ্ঞানীরা তাঁদের পরীক্ষা এবং ফলাফল ইতিমধ্যে জার্নালে প্রকাশ করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বার্চ গাছের ওই আঠা পরীক্ষা করে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওটি চিবানোর আগে মহিলা আর কী কী খেয়েছিলেন৷ তাঁদের ধারণা বাদাম এবং হাসের মাংস খেয়েছিলেন তিনি৷ এ ছাড়াও তাঁর মুখে কী ধরনের ব্যাকটেরিয়া ছিল, তাও জানা গিয়েছে পরীক্ষা করে৷ 

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, গ্ল্যান্ডের অসুখ করে এমন ব্যাকটেরিয়া তাঁর মুখে ছিল৷ কিন্তু তাঁর সেরকম অসুখ হয়েছিল, এমন তথ্য মেলেনি৷ তাহলে কি সে সময় ওই জাতীয় ভাইরাস থেকে অসুখ হতো না? এর উত্তর স্পষ্ট নয়৷ এমনও হতে পারে ভাইরাস থাকলেও তা তখনও কার্যকরী হয়নি৷ বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই ভাইরাস সে সময় কী ভাবে কাজ করত, এখন তার চেহারা কীভাবে বদলালো এবং ভবিষ্যতে তা কী হবে-- সব বিষয়েই এখন গবেষণার সুযোগ তৈরি হতো৷ তাঁদের ধারণা ওই বার্চ গাছের জমে যাওয়া আঠা এমনি চিবোচ্ছিলেন না মহিলা৷ হয় দাঁত পরিষ্কার করার জন্য অথবা খিদে কমানোর জন্য সেটি চিবোচ্ছিলেন তিনি৷ 

এসজি/জিএইচ (এএফপি, ইএফই)