1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রধান অভিযুক্তের কাণ্ডকারখানা

২ জুলাই ২০২৪

ভারতে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিহার বসেই ভারতজুড়ে প্রশ্নফাঁস করা হতো।

https://p.dw.com/p/4hlaq
বিহারের মুজফফপুরে একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ছবি।
বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আগোও প্রচুর হইচই হয়েছে। ছবি: Manish Kumar/DW

আপাতত ৩৩ জন অভিযুক্ত জেল ও সিবিআই হেফাজতে আছে। তাদের জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, প্রশ্নফাঁসচক্রের মাথা ছিল সঞ্জীব কুমার ওরফে সঞ্জীব মুখিয়া। তার প্রধান সহযোগী ছিল সিকান্দার যাদবেন্দু। তাদের মুখিয়া-গ্যাং বলা হতো। মুখিয়াকে সিবিআই এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সূত্র জানাচ্ছে, বাকি যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা জেরার মুখে বলেছে, সঞ্জীব মুখিয়া গোপনে বিরাট একটা অফিস চালাত। সেখানে ৩০ জন কাজ করত। তাদের মোটরসাইকেল দেয়া হয়েছিল। বাছাই করে তরুণদের নিয়োগ করত সঞ্জীব। নালন্দা ও পাটনায় এই অফিস ছিল।

সঞ্জীব প্রায়ই অন্য রাজ্যে যেত। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাটের মতো রাজ্যে সে নিয়মিত যেত। উত্তরপ্রদেশে প্রশ্নফাঁসের জন্য রবি অত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার সঙ্গে সঞ্জীবের যোগাযোগ ছিল। ভারতের বাকি রাজ্যেও এরকম কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সঞ্জীব। এই বিপুল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সে প্রশ্ন ফাঁস করত ও ভারতে ছড়িয়ে দিতো।।

সঞ্জীব গত ৪ জুন বিহারের আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করে। আদালতে সেই জামিনের শুনানি এখনো হয়নি। তার আগেই সঞ্জীব পলাতক। সঞ্জীবের স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের মুখিয়া ছিলেন। প্রায় এক দশক ধরে তিনি জেডিইউ সদস্য।

সিবিআই ওয়েসিস স্কুলের প্রিন্সিপাল এষানুল হক, ভাইস প্রিন্সিপাল ইমতিয়াজ আলম এবং একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে। এরা সকলেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে সূত্র জানিয়েছে। তাদের ব্যাংকের ডিটেলস, কল রেকর্ডস সব সিবিআই পরীক্ষা করে দেখছে।

নিট পরীক্ষার একদিন আগে সঞ্জীব ২৫ জন পরীক্ষার্থীকে পাটনার একটি স্কুলে নিয়ে রেখেছিল। তাদের কাছে তখন আগাম প্রশ্নপত্র দেয়া হয় বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, ইন্ডিয়া টুডে)