1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রবাদ প্রতিম বাদক ও গায়ক লুইস আর্মস্ট্রং

৭ জুলাই ২০১১

বিংশ শতাব্দীর জ্যাজ সংগীত জগতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পেট বাদক ও গায়ক লুইস আর্মস্ট্রং৷ তাঁর প্রাণবন্ত সংগীত আজো মুগ্ধ করে জ্যাজ সংগীত জগতের অনুরাগীদের৷ ৬ জুলাই ছিল এই কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী৷

https://p.dw.com/p/11qfe
Der us-amerikanische Jazz-Trompeter Louis Armstrong, aufgenommen während eines Auftritts in der Jahrhunderthalle Höchst im Jahr 1965. Amerika feiert seit dem 4. Juli 2000 den 100. Geburtstag des legendären Jazzmusikers . Dabei wissen die Fans von «Satchmo», dass die Feiern eigentlich um 13 Monate zu früh kamen. «The King of Jazz» wurde in Wirklichkeit am 4. August 1901 geboren, hatte aber eigenmächtig seinen Geburtstag auf den Unabhängigkeitstag des grandios klingenden 1900 verschoben. New Orleans ehrt seinen großen Sohn mit einem dreitägigen "Satchmo Summer Festival" (bis zum 5.8.) dpa (Zu dpa Korr.-Bericht "Amerika ehrt Armstrong" vom 31.07.2001)
ট্রাম্পেট বাদক ও গায়ক লুইস আর্মস্ট্রংছবি: dpa

লুইস আর্মস্ট্রং এর অসাধারণ ট্রাম্পেট পরিবেশনা, তাৎক্ষণিক সংগীত সংযোজনা এবং সেই সাথে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত, গভীর, মন্দ্র কণ্ঠস্বর মুগ্ধ করেছিল অসংখ্য জ্যাজ সংগীতানুরাগীদের এবং আজো তিনি জ্যাজ সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল তারকা হিসেবে সম্মানিত ৷

লুইস আর্মস্ট্রং এর জন্ম ৪ আগস্ট ১৯০১ সালে অ্যামেরিকার নিউ অর্লিন্স শহরে, এক কৃষ্ণণাঙ্গ ক্রীতদাস পরিবারে৷ খুব দারিদ্র দশার মধ্য দিয়েই কাটে তাঁর শৈশবকাল৷ তাঁর এলাকার কর্নেট বাদক বাঙ্ক জনসন এর পরিবেশনা শুনে শুনেই কর্নেটে তাঁর স্বশিক্ষা৷ খুব অল্প বয়সেই কর্নেট বাদক হিসাবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে৷ ১৯২০ সালে তিনি চলে আসেন শিকাগোতে৷ এখানে ‘ক্রেয়ল জ্যাজ ব্যান্ড'এ যোগ দেন তিনি এবং হাতে তুলে নেন ট্রাম্পেট৷ আর সেই থেকেই জ্যাজ সংগীত জগতে ট্রাম্পেট বাদক হিসেবে শুরু হয় তাঁর সাফ্যলের অগ্রযাত্রা৷ ১৯২৪ সালে আর্মস্ট্রং থিতু হোন নিউ ইয়র্কে৷ এখানেই গায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ৷

জ্যাজ সংগীতের বিভিন্ন ধারায় অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন লুইস আর্মস্ট্রং৷ তাঁর বহু সংগীত মাইল ফলক হয়ে আছে জ্যাজ সংগীতের ইতিহাসে৷ একাধিক গ্র্যমি সহ আরো বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন জ্যাজ সংগীতের দিকপাল লুইস আর্মস্ট্রং৷

সংগীতের পাশাপাশি রেডিও এবং টেলিভিশন শো ছাড়াও বহু ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি৷ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, শান্তি ও মানবাধিকারের সপক্ষে তাঁর ছিল জোরালো সমর্থন৷ ১৯৭১ সালের ৬ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কে মৃত্যু বরণ করেন প্রবাদ প্রতিম বাদক ও গায়ক লুইস আর্মস্ট্রং ৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক