প্রবল কম্পনে ঘুম ভাঙলো দিল্লির
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, দিল্লিতে এদিন ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে চার। কিন্তু তার তুলনায় কম্পনের অনুভব অনেক বেশি হয়েছে। এর মূল কারণ, মাটির নিচে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে এই ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনের উৎসস্থলও রাজধানীতেই। যার ফলে কম্পনের মাত্রা খুব বেশি না হলেও তার অনুভব হয়েছে অনেক বেশি।
এদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। দুর্গাবাঈ দেশমুখ কলেজের ঠিক নিচে ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গেছে। মাটি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার নীচে কম্পনের উৎসস্থল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই জায়গা এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। ঘটনাস্থলের কাছে একটি জলাভূমি আছে। সেখানে মাঝে মাঝেই কম্পন হয়। ২০১৫ সালে শেষবার সেখানে ভূমিকম্প হয়েছিল।
এদিকে এদিন সকালে কার্যত এক তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙে দিল্লিবাসীর। ভোর পাঁচটা ৩৬ মিনিটে কম্পন হয়। বাড়িঘর ঝনঝন করে দুলে ওঠে। ভয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন আফটার শকে আবার কম্পন হবে।
এমনিতেই রাজধানী দিল্লি কম্পনপ্রবণ অঞ্চল। প্রতিবছরই এখানে কমবেশি ভূমিকম্প হয়। নেপাল থেকে হিমালয়ের পাদদেশ ধরে যে কম্পনপ্রবণ অঞ্চল, দিল্লি তার ভিতরেই পড়ে। যেকারণে দিল্লিতে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। তবে দিল্লিবাসীর বক্তব্য, এদিন যে পরিমাণ কম্পন অনুভূত হয়েছে, তা বহুদিনের মধ্যে হয়নি। বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎসস্থলের গভীরতা কম হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)