1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রী পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন

৬ ডিসেম্বর ২০২২

ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করে আর পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

https://p.dw.com/p/4KWMm
ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেন বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা
ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেন বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরাছবি: Mortuza Rashed/DW

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন৷ জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন৷ আর ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উত্তোলন করেন দলীয় পতাকা৷

পরে পায়রা অবমুক্ত করে ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা৷ এসময় ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত গাওয়া হয়৷

৩০ তম জাতীয় সম্মেলনের আহ্বায়ক অসীম কুমার বৈদ্য ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেজাউল করিম সুমন পরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেন৷

ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন কর্মীরা
ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন কর্মীরাছবি: Mortuza Rashed/DW

এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব পাবে দেশের সক্রিয়  ছাত্র সংগঠনগুলোরমধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এই সংগঠন৷ ‘সাংগঠনিক নেত্রী' শেখ হাসিনাই পরবর্তী শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়৷

এ আয়োজন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ৷ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে সুবিশাল নৌকার আদলে৷ রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে৷

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের পাশাপাশি সারা দেশের জেলা মহানগর, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোর থেকেই দলে দলে জড়ো হন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে৷ তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড৷

ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নেয়া এক ব্যক্তি
ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নেয়া এক ব্যক্তিছবি: Mortuza Rashed/DW

সকালে সেগুনবাগিচা, টিএসসি, রমনা কালী মন্দির গেট, দোয়েল চত্বরেও দেখা যায় আনন্দমুখর পরিবেশ৷ নানা রঙের পোশাক আর টুপি পরে, বাদ্য বাজিয়ে সম্মেলনে আসেন ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ 'ছাত্রলীগের সম্মেলন' সফল হোক সফল হোক' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা৷ ছাত্রলীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে৷ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয়েছিল ওই সম্মেলন৷

এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন শেখ হাসিনা৷

পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা শোভন ও রাব্বানীকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷

Suhrawardy Udyan | Dhaka, Bangladesh
ছবি: Mortuza Rashed/DW

তখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে৷ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য৷

পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের সভাপতি ও সাধারাণ সম্পাদক করা হয়৷ এর আগে সম্মেলনের এক বছর পর ২০১৯ সালের ৩১ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য