1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
জলবায়ুক্যানাডা

প্রকৃতি রক্ষায় ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি সই

২০ ডিসেম্বর ২০২২

ক্যানাডার মন্ট্রিয়লে সোমবার ভোরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ একটি চুক্তিতে উপনীত হন৷ একে ২০১৫ সালে প্যারিসে সই হওয়া জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেছেন ক্যানাডার পরিবেশমন্ত্রী স্টিভেন গিলবো৷

https://p.dw.com/p/4LDCr
সম্মেলনে প্রকৃতি রক্ষায় বেশ কিছু অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক নয়৷
মন্ট্রিয়লে জাতিসংঘের উদ্যোগে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ছবি: Lars Hagberg/AFP/Getty Images

জলবায়ু রক্ষায় জাতিসংঘের উদ্যোগে গতমাসে মিশরে জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭ অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ এর একমাস পর মন্ট্রিয়লে জাতিসংঘের উদ্যোগে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা সম্মেলনটি, যাকে কপ১৫ বলা হচ্ছে, চীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু করোনার কারণে দেশটিতে বিদ্যমান কঠোর নীতির কারণে সম্মেলনটি ক্যানাডায় অনুষ্ঠিত হয়৷ তবে সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্বে ছিল চীন৷

মিশরের জলবায়ু সম্মেলনের এক মাস পর আয়োজিত মন্ট্রিয়ল সম্মেলন নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তেমন মনোযোগ ছিল না৷ ফলে সম্মেলন থেকে বেশি কিছু আশা করা হচ্ছিল না৷ তবে চীনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া গেছে৷ এতে প্রকৃতি রক্ষায় বেশ কিছু অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক নয়৷ তারপরও একে ‘ভূমি ও সাগর রক্ষায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি' বলে আখ্যায়িত করেছেন ক্যাম্পেন ফর নেচারের পরিচালক ব্রায়ান ও'ডনেল৷ আর চুক্তি সইয়ের পর ক্যানাডার পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটি এমন এক মুহূর্ত যা ইতিহাসে লেখা থাকবে, প্যারিসে যেমনটা হয়েছিল জলবায়ুর জন্য৷''

চুক্তিতে যা আছে:

  • বর্তমানে বিশ্বের ১৭ শতাংশ জমি ও ১০ শতাংশ সাগর সংরক্ষিত এলাকা বলে ধরা হয়৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সংখ্যাটি ৩০-এ নিয়ে যেতে একমত হয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ৷
  • আদিবাসীরা যেখানে বসবাস করেন সেই জমি দেখাশোনার দায়িত্ব তাদেরকেই দিতে হবে৷ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আদিবাসীদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে৷ সই হওয়া চুক্তিতে এই বিষয়টি বন্ধ করতে দেশগুলো একমত হয়েছে৷
  • জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বর্তমানে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে৷ ২০২৫ পর্যন্ত সংখ্যাটি বাড়িয়ে বছরে ২০ বিলিয়ন ও ২০৩০ পর্যন্ত প্রতিবছর ৩০ বিলিয়ন ডলার করে দিতে সম্মত হয়েছে ধনী দেশগুলো৷ তবে এই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি৷ তাই অর্থ অপচয়ের আশঙ্কা করছেন সমালোচকেরা৷
  • কীটনাশক ও বিপজ্জনক রাসায়নিক ব্যবহারের ঝুঁকি অর্ধেকে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে৷
  • পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেয়া মোট ভর্তুকির পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলার কমাতে হবে কিংবা ঐ টাকা অন্যখাতে ব্যবহার করতে হবে৷
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবছর তাদের কর্মকাণ্ড জীববৈচিত্র্যের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে, সেই প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ করা হবে৷ তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়৷

প্রতিবেদন: টিম শাওয়েনব্যার্গ/জেডএইচ