1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক কারখানায় নারীদের নেতৃত্বে আনার চেষ্টা

৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশি নারী হলেও সুপারভাইজার পদে ৯০ শতাংশের বেশি পুরুষ কাজ করছেন৷ এই অবস্থার পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/3zw8N
Bangladesch Textilfabrik in Dhaka | Arbeiterinnen
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/M. Hasan

দেশি, বিদেশি বেসরকারি সংস্থা ও কারখানার মালিকদের উদ্যোগে মেয়েদের নেতৃত্ব পর্যায়ে নিয়ে আসতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷

২০১৩ সালে ডিবিএল গ্রুপের পোশাক কারখানায় কোনো পর্যায়ে কোনো মেয়ে নেতৃত্বে ছিল না৷ আর এখন প্রতি পাঁচ সেলাই লাইনের একটির দায়িত্বে আছেন মেয়েরা৷

২০১৭ সালে ডিবিএল গ্রুপ নারী নেতৃত্বে পরিচালিত ৪২টি দলের উপর এক গবেষণা চালায়৷ এতে দেখা গেছে, ছেলেদের নেতৃত্বে থাকা দলগুলোর চেয়ে তাদের কর্মদক্ষতা তিন শতাংশ বেশি ছিল৷ টাকার হিসেবে সেই লাভের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা৷

ডিবিএল গ্রুপ এখন পর্যন্ত ১০০র বেশি নারীকে সুপারভাইজার পদের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ এখনও ডিবিএল গ্রুপে কাজ করছে৷ বাকিরা ভালো বেতনের প্রস্তাব পেয়ে অন্য কোম্পানিতে চলে গেছেন৷

প্রশিক্ষণ পাওয়া এক নারী শ্রমিক হলেন নুরুন্নাহার বেগম৷ দর্জি হিসেবে কাজ করার চার বছরের মাথায় তিনি প্রশিক্ষণ পেয়ে সুপারভাইজার হয়েছেন৷ থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে তিনি বলেন, কাজ শুরুর পর তিনি দেখতে পান কাজ ভালো না করায় কয়েকদিন পরপর পুরুষ সুপারভাইজারদের পরিবর্তন করা হচ্ছে৷ এসব দেখে তিনি সুপারভাইজার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ সেই থেকে তিনি সুপারভাইজার পদে কাজ করছেন৷ নুরুননাহার বলেন, সেলাই লাইনে কাজ করা কর্মীদের বেশিরভাগই মেয়ে৷ তাই তাদের নেতৃত্বে একজন ছেলের চেয়ে একজন মেয়ে থাকা ভালো৷ কারণ অনেকসময় দেখা যায়, মাসিকের কারণে প্রতিমাসে মেয়েদের যে ব্যথা হয় সেটার কথা অনেক মেয়ে তার ছেলে বসের কাছে বলতে না পেরে কারখানায় অনুপস্থিত থাকে৷ এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সমস্যা হয়৷ ‘‘কিন্তু এই অবস্থায় আমি ঐ মেয়েকে তাড়াতাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেই, কিংবা একটু বিরতি নেয়ার সুযোগ দেই৷ এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকে,'' বলে জানান নুরুন্নাহার বেগম৷

এদিকে দাতাদের অর্থায়নে পরিচালিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস' বা জিইএআর এর মাধ্যমে ৬০টি কারখানায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে৷ জিইএআর বলছে, তাদের প্রশিক্ষণ পাওয়া নারী সুপারভাইজারদের নেতৃত্বে থাকা সেলাই লাইনের উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

জিইএআর এর ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, চাপ মোকাবিলা ও কীভাবে সহকর্মীদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ করা যায় সেসব বিষয় শেখানো হয়৷ এছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি হলে সেটা কীভাবে সমাধান করা যায়, কর্মদক্ষতা কীভাবে মাপা যায় সেসব বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷

জেডএইচ/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)