1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপোল্যান্ড

পোল্যান্ডে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের বিদায়

১২ ডিসেম্বর ২০২৩

সোমবার পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে ইউরোপ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে৷ ডনাল্ড টুস্কের নেতৃত্বে সে দেশ আবার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে ফিরে যাবে, এমন আশা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/4a3BO
Polens Parlament bestimmt Tusk zum künftigen Regierungschef
ছবি: Michal Dyjuk/AP/dpa/picture alliance

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা৷ কিন্তু সোমবার রাতে পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে ইউরোপের বড় অংশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো৷ উগ্র জাতীয়তাবাদী পিস পার্টির আট বছরের শাসনকালের অবশেষে সমাপ্তি ঘটলো৷ একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে এই দল পোল্যান্ডের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও আইনের শাসন দুর্বল করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছিলো৷ ফলে কোটি কোটি ইউরো অংকের ইইউ অনুদান এতকাল আটকে ছিল৷

গত ১৫ই অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও বিতর্কের পথ ছাড়ে নি পিস পার্টি৷ সেই দলেরই অতীত সদস্য ও বর্তমানে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা নির্বাচনে জয় সত্ত্বেও বিরোধী জোটকে প্রথমে  সরকার গড়ার সুযোগ দেন নি৷ তিনি দ্রুত রাজনৈতিক পালাবদলের বদলে প্রহসনের পথ বেছে নিয়ে পিস পার্টির প্রধানমন্ত্রী মাটেউশ মোরাভিয়েৎস্কিকে আবার সরকার গড়তে বলেন৷ সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠনের দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গিয়ে সোমবার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন মোরাভিয়েৎস্কি৷ সে দিনই বিরোধী জোটের নেতা ও ইইউ সরকার পরিষদের প্রাক্তন প্রধানডনাল্ড টুস্ক সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন

ট্রেন যখন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের সেতু

সংসদের সমর্থনের পর টুস্ক ‘নতুন ও সুন্দর' পোল্যান্ডের প্রতি আস্থার জন্য সবার প্রতি ঋণ স্বীকার করেন৷ তিনি ‘ঐতিহাসিক' পরিবর্তনের উল্লেখ করেন৷ তবে আস্থা ভোটে টুস্কের জোটের জয়ের পর পিস পার্টির নেতা ইয়ারোস্লাভ কাচিনস্কি তাঁকে ‘জার্মান এজেন্ট' বলে ভর্ৎসনা করেন৷ নির্বাচিত জোটের প্রতি সমর্থন দেখাতে পোল্যান্ডের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও নোবেলজয়ী নেতা লেখ ভাউয়েসা সংসদে উপস্থিত ছিলেন৷

পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পরিবর্তনের বাতাস সত্ত্বেও পিস পার্টির আমলে নেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলি আবার প্রত্যাহার করা যে সহজ হবে না, সোমবারই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ দেশের সাংবিধানিক ট্রাইবুনাল এক রায় অনুযায়ী নতুন সরকার যদি সংস্কার আনতে আইন অনুমোদন করে, সেই সিদ্ধান্ত হবে অসাংবিধানিক৷ টুস্কের মতো ইউরোপপন্থি নেতা পোল্যান্ডের হাল ধরলেও আইনি সংস্কার না করলে ইইউ তহবিলের নাগাল পাওয়া যাবে না৷ পিস আমলে নিযুক্ত ট্রাইবুনালের বিচারপতিরা এবং সেই শিবিরেরই প্রেসিডেন্ট দুদা ভেটো শক্তি প্রয়োগ করে টুস্কের উদ্যোগ বানচাল করতে পারেন৷

এমন কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইউরোপীয় নেতারা আন্তরিকভাবে ডনাল্ড টুস্ককে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিও আছেন

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য