1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ড ট্যাঙ্ক পাঠালে জার্মানি বাধা দেবে না

২৩ জানুয়ারি ২০২৩

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পোল্যান্ড ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক পাঠালে জার্মানি তাতে নাক গলাবে না।

https://p.dw.com/p/4MZAZ
ইউক্রেন
ছবি: Philipp Schulze/dpa/picture-alliance

জার্মানির তৈরি লিওপার্ড দুই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠাতে আর কোনো বাধা থাকল না। জার্মানি জানিয়ে দিয়েছে, পোল্যান্ড ইউক্রেনকে ওই ট্যাঙ্ক পাঠালে জার্মানি আপত্তি করবে না। বস্তুত, অনেক দিন আগেই পোল্যান্ড ওই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু জার্মানি অনুমতি না দিলে তা পাঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। রোববারজার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়ে দিয়েছেন, পোল্যান্ড পাঠাতে চাইলে জার্মানি তাতে নাক গলাবে না।

রোববার একটি ফরাসি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বেয়ারবক। সেখানে তাকে ট্যাঙ্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্ন ছিল, পোল্যান্ড যদি জার্মানির কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই লিওপার্ড দুই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে জার্মানির অবস্থান কী হবে? বেয়ারবক বলেছেন, ''এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি তেমন হলে জার্মানি নাক গলাবে না। পোল্যান্ড যা করবে, জার্মানি তা মেনে নেবে। কারণ মানুষের জীবন আগে। ইউক্রেনের মানুষকে বাঁচানোই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কর্তব্য।''

লিওপার্ড দুই ট্যাঙ্ক অত্যাধুনিক। জার্মানি এই ট্যাঙ্ক তৈরি করে। কিন্তু ন্যাটোর বাইরে কোনো দেশকে জার্মানি এই ট্যাঙ্ক দিতে পারে না। পোল্যান্ডের কাছে জার্মানির তৈরি এই ট্যাঙ্ক আছে। বহুদিন ধরেই পোল্যান্ড এই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দিতে চাইছে। কিন্তু জার্মানি অনুমতি না দিলে পোল্যান্ড তা দিতে পারে না। জার্মানিও এখনো পর্যন্ত সেই অনুমতি দেয়নি। বস্তুত, গত সপ্তাহেই জার্মানিতে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে বিরাট বৈঠক হয়েছে। সেখানেও এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অ্যামেরিকা এবং জার্মানি ইউক্রেনের হাতে নতুন করে ট্যাঙ্ক তুলে দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়নি। অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে বিরাট পরিমাণ সামরিক সাহায্য দিলেও ট্যাঙ্ক দিতে চায়নি। জার্মানিও সেই পথেই হেঁটেছে। কিন্তু ইউক্রেন বেশ কিছুদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলির কাছে ট্যাঙ্ক চাইছে। এই পরিস্থিতিতে বেয়ারবকের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার জার্মানি এবং ফ্রান্স যৌথ বিবৃতি জারি করেও ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা বলেছে। জার্মান চ্য্নেসলর ওলফ শলৎস প্যারিসে গেছিলেন দুই দেশের সম্পর্কের ৬০ বছর উদযাপন করতে। সেখানেই তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত জার্মানি। ইউক্রেনের উপর গোটা ইউরোপের শান্তি নির্ভর করছে। ফলে ইউক্রেনকে সবরকম সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে।

রোববারই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বস্তুত, তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ফরাসি টেলিভিশনে ওই মন্তব্য করেছেন বেয়ারবক।

এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁও জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দেওয়ার বিষয়ে ফ্রান্সের কোনো আপত্তি নেই। ফলে গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দেওয়ার বিষয়ে যে জট তৈরি হয়েছিল, এ সপ্তাহে তা খুলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)