1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পূর্ব লিবিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করল পূর্ব লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। বেনগাজি, আল-মার্জ, সাভা সহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হচ্ছিল।

https://p.dw.com/p/3iQ0y
ছবি: picture-alliance/AP/H. El-Yamany

গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিল। দুর্নীতি ও জীবনযাপনের খারাপ মানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। রোববার বেনগাজিতে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক সদরদফতরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার ইস্তফা দেয়ার কথা জানিয়ে দেয়। 

প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা আল-থানি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকারের কাছে তাঁর ইস্তফা দিয়েছেন। ২০১১ সালে দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারী শাসক গদ্দাফির শাসন শেষ হওয়ার পর পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায়আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ক্ষমতায় আসে।

বেনগাজি ছাড়াও আল-মার্জে সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এই এলাকা আবার খালিফা হাফতার ও তাঁর লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি(এলএনএ)-র শক্ত ঘাঁটি। এ ছাড়া দক্ষিণের শহরগুলিতেও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।

গদ্দাফির পর থেকেই রাজনৈতিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় জেরবার লিবিয়া। গত বৃহস্পতিবার থেকে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার কারণ সমানে লোডশেডিং, পেট্রোল-ডিজেলের মাত্রাছাড়া দাম এবং লোকের কাছে অর্থের অভাব।  

গত ১৪ মাস ধরে পূর্ব লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে এলএনএ-র সংঘাত চলছে। এলএনএ রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ারও চেষ্টা করেছে।

জানুয়ারি থেকেই লিবিয়ার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। লিবিয়ার সব তেল সংস্থায় এলএনএ অবরোধ করে রেখেছে। এই অবরোধ ওঠানো নিয়েও কথা চলছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)