1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিনের হুমকিকে গুরুত্ব দিলো না জার্মানি

৩০ জুলাই ২০২৪

মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে পুটিনের হুমকি উপেক্ষা করলো জার্মানিি।

https://p.dw.com/p/4ispQ
নতুন প্রজন্মের টম হক ক্রুজ মিসাইল।
২০২৬-এর মধ্যে জার্মানিতে টম হক ক্রুজ মিসাইল মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: Everett Collection/picture alliance

জার্মানিতে আরো ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম ক্রুজ মিসাইল মোতায়েন করবে তারা। পুটিন জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে তিনিও পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন। জার্মান সরকারের বক্তব্য, পুটিনের বক্তব্য তারা দেখেছেন।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশার বলেছেন, ''এই ধরনের মন্তব্য করে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।''

সহকারী মুখপাত্র হফম্যান বলেছেন, ''পুটিনের মন্তব্য আমরা দেখেছি। নতুন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র ডেটারেন্ট বা প্রতিরোধক হিসাবে। রাশিয়ার সাম্প্রতিক কার্যকলাপের ফলে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।''

তিনি জানিয়েছেন, ''রাশিয়ার কার্যকলাপ ইউরোপের কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের একটা প্রতিরোধক দরকার।''

পুটিন কী বলেছেন?

রোববার সেন্ট পিটার্সবার্গে নৌবাহিনীর প্যারেডে পুটিন বলেছেন, ''ইউরোপে আরো অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা কার্যকর করতে চাইছে অ্যামেরিকা। এই সব অস্ত্র রাশিয়াকে টার্গেট করতে পারে।''

পুটিন বলেছেন, ''ঠান্ডা যুদ্ধের সময় অ্যামেরিকা সাবেক পশ্চিম জার্মানিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল। তা নিয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আপত্তি জানায়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার কথা বলে। অ্যামেরিকা এখন একই ধরনের কাজ করছে।''

পুটিন বলেছেন, ''যদি অ্যামেরিকা এইভাবে অস্ত্র মোতায়েন করে, তাহলে আমরাও একতরফা যে অস্ত্রনিয়ন্ত্রণের ঘোষণা করেছিলাম, তার থেকে সরে আসব। ছোট ও মাঝারি পাল্লার অস্ত্র মোতায়েন করব। নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে।''

১৯৮৩ সালের আর্কাইভ ছবি। বন-এর প্রতিবাদে সাবেক সামরিক কর্মীরাও সামিল হয়েছিলেন।
পুটিন যে প্রসঙ্গ তুলেছেন। ১৯৮৩ সালে পশ্চিম জার্মানিতে অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বন-এ প্রতিবাদ। ছবি: Heinz Wieseler/picture alliance

এখানে পুটিন ১৯৮৭ সালের পরমাণু চুক্তির কথা বলছেন, যার থেকে অ্যামেরিকা ও রাশিয়া ২০১৯ সালে সরে আসে।

দুই পক্ষই তখন একে অপরকে চুক্তিভঙ্গের জন্য দায়ী করেছিল।

তবে পুটিন দাবি করেছেন, রাশিয়া এই চুক্তি থেকে সরে আসার পরও শর্ত মেনেছে। কিন্তু অ্যামেরিকা যদি জার্মানিতে অস্ত্র মোতায়েন করে, তাহলে তারা আর শর্ত মানবেন না বলে পুটিন হুমকি দিয়েছেন।

এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দুই পক্ষই তাদের মনোভাব আরো কড়া করেছে।

কী পরিবর্তন হতে পারে?

ওয়াশিংটন ও বার্লিনের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে অ্যামেরিকা এসএম-৬ ও আরো আধুনিক টমহক ক্রুজ মিসাইল মোতায়েন করবে। এছাড়া কিছু হাইপারসনিক অস্ত্রও জার্মানিতে মোতায়েন করা হবে। 

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির যুক্তি, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সীমান্তে একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশার বলেছেন, তারা রাশিয়ার আচরণের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন মাত্র। এই সব অস্ত্র ডেটারেন্ট হিসাবেই মোতায়েন করা হচ্ছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)