1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিনের মুখে মোদীর ভূয়সী প্রশংসা

২৮ অক্টোবর ২০২২

আগামী ৮ নভেম্বর মস্কোয় যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর৷ ক্রেমলিনে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভ্লাদিমির পুটিন৷

https://p.dw.com/p/4Imre
মোদী-পুটিন
ছবি: Alexandr Demyanchuk/SPUTNIK/AFP

ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ অন্যদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ৮ নভেম্বর রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর৷

বৃহস্পতিবার মস্কোর ভালদাই ডিসাকশন ক্লাবে বক্তৃতা দেন পুটিন৷ রাশিয়ান ভাষায় তার বক্তৃতার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার সংবাদসংস্থা৷ সংবাদসংস্থা রয়টার্স সেই বক্তৃতার ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছে৷ ভাষণে পুটিন বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর পররাষ্ট্রনীতি স্বাধীনচেতা৷ অত্যন্ত প্রশংসনীয়৷ তার নেতৃত্বে ভারত দ্রুত উন্নতি করছে৷ এই প্রসঙ্গেই পুটিন উল্লেখ করেছেন, ব্রিটিশ কলোনি থেকে স্বাধীন হওয়ার পর কীভাবে দ্রুত ভারত নিজেকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশে পরিণত করেছে৷ এবং এই যাত্রায় রাশিয়া বরাবরই ভারতের পাশে ছিল৷ মোদীর প্রশংসা করে পুটিন বলেছেন, ভারতের এই জয়যাত্রায় আগামীদিনেও রাশিয়া একইরকম ভাবে পাশে থাকবে৷

পুটিন বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সাধারণ নয়, বিশেষ৷ এবং সে কারণেই যে কোনো পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে থাকবে রাশিয়া৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত রাশিয়াকে জানিয়েছিল, তাদের সার আমদানি কমে গেছে৷ রাশিয়া কথা দিয়েছে, ভারতে সার রপ্তানি সাত দশমিক ছয় গুণ বাড়ানো হবে। কৃষিপণ্য বাণিজ্যে ভারত এবং রাশিয়ার ব্যবসা দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি৷

জয়শংকরের সফর

বুধবারই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সারজেই শোইগু৷ প্রথমে ভারত এবং তারপরেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের ‘ডার্টি বম্ব’ নিয়ে কথা বলেন তিনি৷ এরপরেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী ৮ নভেম্বর মস্কো সফরে যাবেন তিনি৷ সেখানে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং সেই পরিস্থিতিতে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা হবে৷

গোটা পশ্চিমা বিশ্ব যখন রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে, তখন ভারতের এই অবস্থান এবং পুটিনের এই প্রশংসা কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা৷ সার এবং তেল নিয়ে ভারত এবং রাশিয়ার যে বাণিজ্য চলছে, তা-ও কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷

ভারত এতদিন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষ অবলম্বন করেনি৷ কিন্তু চলতি সময়ে কি ভারত রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে? ভারতের সাবেক লেফটন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের উল্টোদিকে একটি ব্লক তৈরির চেষ্টা করছে৷ সেখানে ভারত এবং চীনকে সঙ্গে পেতে চাইছে তারা৷’’ উৎপলের মতে, ভারত সেই ব্লকে সরাসরি যোগ দেবে কি না, সেটা একটি বড় প্রশ্ন। কারণ, চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মধুর নয়৷ অন্যদিকে, সরাসরি রাশিয়ার ব্লকে যোগ দেওয়ার অর্থ অ্যামেরিকার থেকে দূরত্ব তৈরি করা। ভারত এখনো পর্যন্ত একটি ভারসাম্যের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে চলেছে৷ ভবিষ্যতেও তা বজায় রাখতে পারে কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷

ঋষি সুনককে ফোন

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই ঋষি সুনককে ফোন করে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদী৷ শুক্রবার সুনকের শপথগ্রহণ। শুক্রবারই ভারতে এসেছেন যুক্তরাজ্যের বিদেশসচিব জেমস ক্লেভারলি৷ জয়শংকরের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা৷

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, রয়টার্স)