1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিন-শি বৈঠক, শক্তিশালী সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি

১৬ ডিসেম্বর ২০২১

পশ্চিমা দেশগুলির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাশিয়া এবং চীনের প্রেসিডেন্ট। শক্তিশালী জোট গড়ে তোলার আলোচনা।

https://p.dw.com/p/44L9O
পুটিন-শি জিনপিং
ছবি: Yin Bogu/AP Photo/picture alliance

বুধবার প্রায় ৯০ মিনিট ভিডিও কলে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী শীতকালীন অলিম্পিকে মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা। রাশিয়া এবং চীনের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলির বিরুদ্ধে এদিন সরব হয়েছেন দুই নেতা।

রাশিয়ারঅভিযোগ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সহ একাধিক অধিকারের নামে রাশিয়া এবং চীনের বিরুদ্ধে জোট গড়ে তুলছে অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি। তাদের একঘরে করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, এর বিরুদ্ধে পাল্টা জোট তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এদিন আলোচনা করেছেন পুটিন ও শি।

চীনের বক্তব্য, পশ্চিমা দেশগুলি এখন আর নিজেদের সীমার মধ্যে আটকে নেই, বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনেও তারা চীন ও রাশিয়ার অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়া, অ্যামেরিকা, জাপান এবং ভারত যেভাবে জোট তৈরি করেছে, তার সমালোচনা করেছে চীন। একইসঙ্গে ন্যাটোকেও একহাত নিয়ে তারা জানিয়েছে, রাশিয়ার দাবি ন্যাটোর মেনে নেওয়া উচিত।

রাশিয়ার দাবি, ন্যাটো আর অগ্রসর হতে পারবে না। অর্থাৎ, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। এর ফলে রাশিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। বিঘ্নিত হচ্ছে বলেই ইউক্রেনের সীমান্তে তারা সেনা পাঠাতে বাধ্য হয়েছে। রাশিয়ার এই দাবিকে সমর্থন করেছে চীন।

ব্যবসা এবং পারস্পরিক নিরাপত্তার বিষয়ে রাশিয়া এবং চীন যৌথভাবে কাজ করবে বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবে চীন ও রাশিয়ার এই বৈঠককে ভালো চোখে দেখছে না পশ্চিমা দেশগুলি। ভবিষ্যতে এই জোট কতদূর এগোয় তার দিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক বিশ্ব।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)