1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর৷ বিশ্ব পর্যটন দিবস৷ বিশ্ব জুড়ে এই দিবসকে ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে নানা উৎসবের৷ দিবসটিকে ঘিরে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবং বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই বিশেষ বাণী দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/12ghj
ছুটির আনন্দ৷ বেড়ানো মানেই মনকে সজীব করাছবি: Fotolia/Barbara Helgason

বর্তমান সময় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে পার হলেও পর্যটন শিল্পের পরিধি ঠিকই বিস্তৃত হয়ে চলেছে৷ সৌন্দর্য এবং জ্ঞান পিপাসু মানুষের ছোঁয়ায় স্নিগ্ধ হচ্ছে নতুন নতুন মাটি আর হাওয়া৷ ঘুরে বেড়ানোর আনন্দে উদ্বেলিত হচ্ছে নতুনত্বের খোঁজে ফেরা পর্যটকদের মন-প্রাণ৷ শুধুমাত্র ২০১০ সালেই নিজ দেশের সীমানা পেরিয়ে নানা অঞ্চল ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রায় ৯৪ কোটি মানুষ৷ জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার হিসাবে এর আগে কখনই এতো বেশি মানুষ পর্যটনমুখী হয়নি৷

১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে গৃহীত হয় বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সনদ৷ তাই সেই দিনটিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করা হয় ১৯৭৯ সালে৷ এরপর থেকে ক্রমবর্ধমান এই পর্যটন শিল্পের প্রসারে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস৷ এ বছরেও বিশ্বের নানা দেশে পালিত হচ্ছে এই আন্তর্জাতিক দিবস৷ আয়োজন করা হয়েছে পর্যটন ছবি প্রতিযোগিতা, বিশেষ প্রদর্শনী, ভ্রমণ এবং পর্যটন পদক প্রদানসহ নানা কর্মসূচি৷ এ বছরের প্রতিপাদ্য - ‘সংস্কৃতির সংযোগসূত্র পর্যটন'৷

Flash-Galerie Die Wunder der Natur
বেরিয়ে না পড়লে প্রকৃতির এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য তো দেখা যাবেনা!ছবি: Fotolia/Christopher Meder

২০১১ সালের বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ছবি প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে সৌরভ কর্মকারের তোলা ছবি৷ শিরোনাম ‘আমাকে লাল দাও'৷ ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে কলকাতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বাসভবনে এক ভারতীয় নারীর সাথে দোল উৎসবে মেতে উঠেছে দুই কোরীয় নারী৷ এই ছবির মালিক সৌরভ কর্মকার পাচ্ছেন সাত দিন ধরে মিশরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার লোভনীয় সুযোগ৷

এই প্রতিযোগিতার জন্য জমা হওয়া শত শত ছবির মধ্যে সেরা পাঁচটি ছবিকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন করা হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে রবিন চক্রবর্তীর ছবি ‘পূর্ব-পশ্চিম উচ্ছলতা'৷ ছবিটিতে রয়েছে - এশিয়ার এক নারী পাশ্চাত্যের এক তরুণীর সাথে পাশাপাশি বসে নিজেদের ছবি দেখছেন এবং আনন্দে উদ্বেলিত ভাব উভয়ের চোখে-মুখে৷ সেরা পাঁচের ঘরে জায়গা করে নিয়েছে খোসে রোসাডোর ছবি ‘দ্য বাওবাব হাগার্স'৷ এতে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরনো একটি বিশাল দেহী বৃক্ষকে একজন সাদা এবং একজন কালো মানুষ হাত ধরাধরি করে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য৷

‘পূর্ব পশ্চিমের মিলন' শিরোনামের অপর ছবিটি চিত্রগ্রাহক চি কিউং ওং'এর৷ এতে দেখা যাচ্ছে, চীনা নাট্যশালার পেছনে এক অভিনয় শিল্পীর কাছ থেকে মেকআপ নেওয়ার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে এক পশ্চিমি বালক৷ অন্যতম সেরা ছবি বির্কলে ওয়াইল্ডগুজ'এর ‘ওএমজি'৷ ছবিটিতে একজন স্থানীয় বাসিন্দাকে দেখা যাচ্ছে যিনি পর্যটক বালিকাকে শেখাচ্ছেন কীভাবে সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া শামুকে ফুঁ দিয়ে বাঁশির মতো বাজানো যায়৷ এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী চার রানার-আপ চিত্রগ্রাহক পাচ্ছেন একটি করে ডিজিটাল ক্যামেরা৷

এছাড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনীত ছবিগুলোর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বছরের বিশ্ব পর্যটক দিবস উৎসবের আয়োজক দেশ মিশরের আসওয়ানে৷ একই স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বের পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাদের বিতর্ক অনুষ্ঠান৷ পর্যটন কীভাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সমঝোতা, শান্তি এবং ভিন্ন সংস্কৃতির যোগসূত্র হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনায় যোগ দেন মিশর, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ