1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্লারের হোম সার্ভিসের নামে ধর্ষণে গ্রেপ্তার দুজন

১৩ অক্টোবর ২০২২

ঢাকায় অন্ত পার্লারকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ গ্রেপ্তার ওই দুজন হলেন মো. রিয়াদ (২৪), ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

https://p.dw.com/p/4I6zK
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/E. McGregor

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটককে বলেন, রিয়াদের শুক্রাবাদের বাসতেই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে৷ এ কাজে আরও একজন নারীকে রিয়াদ ব্যবহার করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে৷

“ধর্ষণে জড়িত তিনজনকেই শনাক্ত করা গেছে৷ যার বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে সেই রিয়াদ নিউ মডেল কলেজের শিক্ষার্থী৷ তবে যে নারী ফোন করে পার্লারের হোম সার্ভিসের জন্য ডেকে এনেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি৷ ”

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রিয়াদ তার বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে এলাকায় বেশ প্রভাব নিয়ে চলাফেরা করেন৷ এলাকায় তিনি ‘টিকটক রিয়াদ’ নামে পরিচিত৷ জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান বলেন, “অমরা যখন চিহ্নিত করে ফেলেছি, তখন গ্রেপ্তার হবেই৷”

ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ রিয়াদের বাসাটি শনাক্ত করেছে বুধবার রাতে৷  

“বাসাটি শেরেবাংলা নগর থানায় পড়েছে৷ রিয়াদ তার বন্ধুদের নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন৷ ওই নারী বলেছেন, ধর্ষণের সময় অন্যদের মুখে তিনি রিয়াদের নামটি বারবার শুনেছেন৷”  পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহমুদও বলেছেন, ওই বাসার রিয়াদ তার বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে থাকেন৷ কিন্তু ঘটনার সময় তারা বাসায় ছিলেন না৷

“তবে ঘটনার সময় এক বৃদ্ধার ওই বাসায় থাকার তথ্য দিয়েছেন ওই নারী, যিনি পাশের কক্ষে ছিলেন৷ রিয়াদ নামের ওই যুবকসহ তার বন্ধুরা যে টিকটক করে, তার প্রমাণ বাসায় পাওয়া গেছে৷”

এদিকে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে৷ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে৷ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী সাভারে থাকেন৷ গত মঙ্গলবার বাসায় রূপচর্চাসেবা নেওয়ার কথা বলে সাভার থেকে ওই নারী পারলার–কর্মীকে শুক্রাবাদের ওই বাসায় ডাকা হয়৷

ধর্ষণের শিকার নারী স্বামী রাইড শেয়ারের গাড়ি চালান৷ সংসারে কিছু বাড়তি আয়ের জন্য তিনি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে পার্লারের হোম সার্ভিস দিতেন, তার নিজের কোনো পার্লার নেই৷

ওই নারীর অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পার্লারের কাজের জন্য একটি ফোন আসে এবং ধানমণ্ডি ২৮ নম্বর সড়কে যেতে বলা হয়৷সে অনুযায়ী ওই বাসায় গেলে এক নারী তাকে নিয়ে এক ভবনের দোতালায় যান এবং সেখানে গিয়ে দেখেন ওই নারী ছাড়াও তিন যুবক সেখানে আছেন৷

ওই যুবকরাই তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মারধর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন সেই নারী৷ তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে তার স্বামী পুলিশকে জানিয়েছেন৷ সাত মাস আগে তাদের বিয়ে হয়৷

ওই নারীর বরাত দিয়ে তার স্বামী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন যুবকের হাতে তার স্ত্রীকে তুলে দেওয়ার সময় ওই বাসায় থাকা সেই নারী বলেন, “আমার কাজ আমি করেছি, এবার তোমাদের কাজ কর৷” এরপর রিয়াদ তার হাতে কিছু টাকা তুলে দেন৷ সে সময় তাদের কাছে অস্ত্রও ছিল৷

নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, রাত ৮টার কিছু পর থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত সেখানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে৷

পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পার্লারের হোম সার্ভিস নেওয়ার জন্য যখন ফোন আসে, তখন সাভারে আরেক এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি৷ ফোন পেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী তার স্বামীর অনুমতি নিয়ে সাভার থেকে ধানমণ্ডিতে যান৷ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি স্বামীকে ঘটনা জানান৷ পরে স্বামী এসে তাকে নিয়ে সাভারের বাসায় চলে যান৷

বুধবার সকালে আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয় ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে৷

ওসিসির সমন্বয়ক বিলকিস বেগম প্রথম আলোকে জানান, প্রাথমিকভাবে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে এবং তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ অন্তঃসত্ত্বা নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত৷ আরও কিছু পরীক্ষা–নিরিক্ষা করার পরে বিস্তারিত বলা যাবে৷

 এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য