1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাতে উঠতে পারে টক-ঝাল-মিষ্টি কেঁচো!

১ ডিসেম্বর ২০১৮

হংকং-এর একটি সংস্থা জানাচ্ছে, ২০৫০ সালে সারা বিশ্বে সৃষ্টি হবে প্রবল খাদ্যসঙ্কট৷ মাছ-মাংসের মতো খাদ্যদ্রব্যও হতে পারে দুর্লভ৷ তাই সংস্থাটি বিকল্প হিসাবে প্রস্তাব করছে পুষ্টিযুক্ত একটি কেঁচো!

https://p.dw.com/p/39EVv
ছবি: picture-alliance

২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে নয়শ’ কোটির কাছাকাছি৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, বাড়তি জনসংখ্যার কারণে দেখা দিতে পারে চরম খাদ্যসঙ্কট৷ অতি চেনা ও বর্তমানে সহজলভ্য খাবার, যেমন মাছ বা মাংস হয়তো তখন দুর্লভ হয়ে উঠতে পারে৷

এই সমস্যার মোকাবিলা করতেই হংকংয়ের ‘লিভিন ফার্মস’ সংস্থা একটি অভিনব প্রস্তাব এনেছে৷ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা কাটারিনা উনগেরের মতে, ‘‘আমাদের বিকল্প খাবারের কথা ভাবতে হবে৷ আমার মতে, এরসঠিক বিকল্প হতে পারে ‘মিলওয়ার্ম’ বা একটি বিশেষ কেঁচো, যা চাষ করতে খুব বেশি জায়গা বা জলের প্রয়োজন পড়ে না৷’’ 

শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও চীন বা থাইল্যান্ডে রীতিমতো জনপ্রিয় খাদ্যের অন্যতম কেঁচো ও অন্যান্য পোকামাকড়৷

কতটা স্বাস্থ্যকর?

হংকং-এর ‘পিপল অফ ইউনান রেস্টুরেন্ট’-এর মালিক লি চিং জানান, ‘‘এই কেঁচো ঘাসফড়িং বা গুটিপোকার মতোই অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ৷ প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে সেখানে ও ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল থাকে কম৷’’

কিন্তু পুষ্টিবিজ্ঞানী মাইলস প্রাইসের মতে, এই কেঁচোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকলেও ক্রেতাদের কাছে তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘বেশিদিন ধরে এই কেঁচো খাওয়া কতটুকু নিরাপদ তা-ও গবেষণার বিষয়৷ সেই বিষয়ে নিশ্চিত হলে তবেই ক্রেতাদের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে৷’’

লিভির ফার্মস যদিও এ বিষয়ে বেশ আশাবাদী৷

ইতিমধ্যেই তারা তৈরি করেছে একটি বিশেষ চাক, যেখানে খাবারের উচ্ছিষ্ট খাইয়ে পালন করা হচ্ছে এই ‘মিলওয়ার্ম’ কেঁচো৷ শুধু তাই নয়, সংস্থার আরেক কর্মকর্তা ক্লেটন ওং জানাচ্ছেন, এই কেঁচো রান্না করবার বিভিন্ন পদ্ধতিও৷

‘‘এই কেঁচো আপনি কখনো মিষ্টি দিয়ে, আবার কখনো টক-ঝাল মশলা দিয়েও রান্না করতে পারেন৷’’ টমেটো ও ‘মিলওয়ার্ম’ সস দিয়ে পাস্তা রান্না করতে করতেই এ কথা জানান তিনি৷

বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলেই পাওয়া যায় এই কেঁচো৷ ফলে ভবিষ্যতে মাছ-মাংসের বদলে পাতে কেঁচো পড়ার সম্ভাবনাকেই জিইয়ে রাখতে তাদের গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে ‘লিভিন ফার্মস’৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স)