1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজপাকিস্তান

পাকিস্তানে পবিত্র কোরান পোড়ানোর অভিযোগে হত্যা

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

পাকিস্তানে পবিত্র কোরান পোড়ানোর অভিযোগে এক মানসিক ভারসাম্যহীনকে পাথর ছুঁড়ে মারা হলো।

https://p.dw.com/p/46yAS
পবিত্র কোরান পোড়ানোর অভিয়োগ ছিল এক মানসিক ভারসাম্যহীনের বিরুদ্ধে। ছবি: Pascal Deloche/Godong/picture alliance

পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে রোববার এই ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।

কী হয়েছিল?

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের মসজিদটি যিনি দেখভাল করেন, তিনি মসজিদের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভিতরে যান।

তিনি দেখেন, পবিত্র কোরানের একটি কপি পোড়ানো হয়েছে। আরেকটিতে আগুন ধরানোর চেষ্টা করছে এক ব্যক্তি।

সেই সময় সন্ধ্যার নামাজ পড়ার জন্য অনেকে মসজিদে আসছিলেন। তিনি তখন চিৎকার করে ওই ব্যক্তিকে থামতে বলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মীরা গ্রামে পৌঁছান এবং ওই ব্যক্তিকে ধরেন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

জনতা কী করে?

জনতা তারপর ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোঁড়া হয়।

প্রায় তিনশ মানুষ তখন সমবেত হয়ে গেছেন। তারা এরপর ওই ব্যক্তির দেহ গাছ থেকে ঝুলিয়ে দেয়। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তখন প্রচুর মানুষ সেখানে ছিলেন।

#জাস্টিসফরমাশাল: পাকিস্তানে ধর্মনিন্দা আইনের সমালোচনা

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের তিনজন অফিসার আহত হয়েছেন। পরে আরো কনস্টেবল এবং অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান।

এখন কী হবে?

স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, যারা হত্যা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ প্রধান মুনাবর গুজ্জর জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা এখন অপরাধীদের চিহ্নিত করতে  ভিডিওগুলি খতিয়ে দেখছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আর মৃত ব্যক্তির নাম মুস্তাক আহমেদ। তার বয়স ৪১ বছর। তিনি গত ১৫ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঝেমধ্যেই সে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেত। ভিক্ষা করে খেত।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন। ইমরান টুইট করে বলেছেন, ''কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। এই বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলি। আইনানুযায়ী অভিযুক্তদের বিচার হবে।''

পাকিস্তান ধর্মনিন্দা নিয়ে সরকারি অবস্থান

পাকিস্তানে ধর্মনিন্দা আইনত নিষিদ্ধ, এর ফলে ফাঁসি পর্যন্ত হতে পারে। গতমাসেই এক নারীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। ওই নারী আপত্তিকর টেক্সট মেসেজ ও মহানবী(সাঃ)-র ক্যারিকেচার পাঠিয়েছিল।

ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম জানিয়েছে, পাকিস্তানে ধর্মনিন্দার দায়ে ৮০ জন এখন জেলে আছে। তাদের হয় যাবজ্জীবন বা ফাঁসির সাজা হয়েছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, ডিপিএ)