1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাইপলাইন প্রকল্প: জার্মানি-স্পেন চায়, বাধা ফ্রান্স

৬ অক্টোবর ২০২২

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস এখন স্পেনে। পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে কথা স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু এই প্রকল্পের পথে মূল বাধা ফ্রান্স।

https://p.dw.com/p/4HoVe
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস এবং সপেনের প্রধানমন্ত্রী স্যাঞ্চেজ এই পাইপলাইন চান।
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস এবং সপেনের প্রধানমন্ত্রী স্যাঞ্চেজ এই পাইপলাইন চান। ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পোড্রো স্যাঞ্চেজ পাইপলাইন নিয়ে একমত, কিন্তু ফ্রান্স এখনো রাজি নয়। ইউরোপের বিদ্যুৎ-সংকট মেটাতে এই পাইপলাইন খুবই জরুরি বলে মনে করেন জার্মানি ও স্পেনের শীর্ষ নেতা।

আসলে এই প্রস্তাবিত পাইপলাইন যাবে পিরানিস পর্বতমালার পাশ দিয়ে। স্পেন থেকে ফ্রান্স হয়ে তা জার্মানিতে আসবে।

প্রস্তাবিত পাইপলাইন

শলৎস ও স্যাঞ্চেজের মংধ্যে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে এই পাইপলাইন প্রকল্প। দুই নেতাই এই পাইপলাইন তৈরির পক্ষে।

জয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, হাইড্রো-কার্বন রেডি গ্যাস পাইপলাইন তৈরি খুবই জরুরি। ইইউ-র মধ্যে একটা এনার্জি মার্কেট তৈরি করতে গেলে এই পাইপলাইন দরকার। পিরানিসের পাশ দিয়ে যাওয়া এই পাইপলাইন ২০২৫-এর মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। এর ফলে ইইউ-র কৌশলগত সার্বভৌমত্ব রক্ষিত হবে এবং গ্রিন এনার্জি পাওয়া যাবে।

পাইপলাইন নিয়ে কেন বিতর্ক?

জার্মানি এই পাইপলাইন তৈরির বিষয়ে খুবই আগ্রহী। জার্মানি এতদিন সবচেয়ে বেশি গ্য়াস পেত রাশিয়ার কাছ থেকে। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে গেছে। রাশিয়ার গ্যাসের উপর আর নির্ভর করতে পারছে না জার্মানি

এই অবস্থায় মাদ্রিদ ও বার্লিন চায়, এই পাইপলাইন তৈরি করা হোক।  কিন্তু এই পাইপলাইন যাওয়ার কথা ফ্রান্সের মধ্যে দিয়ে।

স্যাঞ্চেজ বলেছেন, পাইপলাইনের অভাবে স্পেন প্রাকৃতিক গ্যাসের পুরো ব্যবহার করতে পারছে না। ইউরোপের বাকি দেশগুলিকে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।

এই পাইপলাইন নিয়ে ফ্রান্সের সরকার খুব একটা আগ্রহী নয়। এই প্রকল্প ২০১৩ সালে হাতে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯য়ে তা বাতিল করা হয়। কারণ দুইটি। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা এবং আর্থিক দিক থেকে লাভজনক না হওয়া।

গতমাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ এই পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে তার বিরোধের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পিরানিস দিয়ে দুইটি পাইপলাইন গেছে। সেগুলিরই পুরোপুরি ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় তৃতীয় পাইপলাইনের প্রয়োজন নেই।

কিন্তু স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শলৎস বলেছেন, তিনি মনে করেন, ফ্রান্স এই পাইপলাইন প্রকল্প  বাতিল করেনি। কিছু প্রকল্প আজ লাভজনক নাও লাগতে পারে, কিন্তু কাল তা লাভজনক হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

জার্মানি ও স্পেন এই পাইপলাইন আরো প্রসারিত করতে চায়। এর ফলে ইউরোপের অনেক দেশই উপকৃত হতে পারে। শলৎস জানিয়েছেন, জার্মানি নিজের এলএনজি টার্মিনাল বানাচ্ছে। এই পরিকাঠামো পরে হাইড্রোজেনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে।

প্রতিরক্ষা নিয়ে

জার্মানি ও স্পেন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও জোরদার করতে চায়। জুন মাসে ন্যাটো চুক্তি অনুসারে তারা এই কাজ করতে চায়। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, ইউরোপে এখন শান্তি নেই। দুই দেশই এখন ইউক্রেনের পাশে বলে আবার জানানো হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)