পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ
২৭ এপ্রিল ২০১১তৃতীয় দফার নির্বাচনে তিন জেলায় ভোট পড়ল গড়ে ৭৮.৩ শতাংশ৷ এর মধ্যে দুই ২৪ পরগণায় ৮০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে৷ কলকাতায় ভোটের হার তুলনামূলকভাবে ছিল কম, প্রায় ৬২ শতাংশ৷ ভোট দেওয়া নিয়ে এদিন সকাল থেকেই ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়৷ ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সময় বেশ কিছু বুথে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্র বিকল হওয়ার খবর আসে৷ পরে অবশ্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল কুমার গুপ্তা সাংবাদিকদের জানান, বিকল হওয়ার হার ছিল এক শতাংশেরও কম৷ ত্রুটিযুক্ত ইভিএম-ও দ্রুত বদলে ফেলা হয়৷ তবে এদিন বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোটপর্ব ছিল পুরোপুরি নিরুপদ্রব এবং শান্তিপূর্ণ৷
যে ৭৫টি আসনে এদিন ভোট হল, গত লোকসভা ভোটের ভোট গণনার সময় দেখা গিয়েছিল, তার মধ্যে ৬৫টি বিধানসভা এলাকাতেই পিছিয়ে ছিল বামফ্রন্ট৷ এবারও সেই একই প্রবণতা বজায় থাকে কিনা, তার ওপরেই নির্ভর করছে রাজ্যে কারা আগামীতে আসতে চলেছে ক্ষমতায়৷
এবারের নির্বাচনের হেভিওয়েট প্রার্থীরাও অনেকেই ছিলেন তৃতীয় দফার এই ভোটে৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন, যাদবপুর আসনে তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন বামফ্রন্ট সরকারেরই একদা মুখ্যসচিব, প্রাক্তন আমলা মনীশ গুপ্ত৷ অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত ছিলেন খড়দা আসনে৷ তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস যাঁকে প্রার্থী করেছে, সেই অমিত মিত্রকে তুলে ধরা হচ্ছে পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হিসেবে, অবশ্যই যদি বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসে৷ এছাড়া দমদম বিধানসভা কেন্দ্রে ছিলেন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেব, যিনি এবারের নির্বাচনে সিপিএম দলের আক্রমণাত্মক প্রচারের বর্শামুখ হয়ে উঠেছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছেন পরিবর্তনপন্থী বিদ্বজ্জনেদের অন্যতম, নাট্যকার ব্রাত্য বসু৷ এছাড়া রায়দিঘি আসনে দুঁদে রাজনীতিক, মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়৷ তৃণমূলের আরেক তারকা প্রার্থী, অভিনেতা চিরঞ্জিতও এবারের পর্বে প্রার্থী ছিলেন বারাসাতে৷ অন্যদিকে এতদিন রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও এবারের প্রার্থী ছিলেন৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী