1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক গণপিটুনি, বিল এখনো আটকে

৩ জুলাই ২০২৪

পাঁচ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণপিটুনি নিয়ে বিল পাস হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পরেও তা চালু হলো না কেন?

https://p.dw.com/p/4hnaa
ভাঙ্গরে প়ঞ্চায়েত ভোটে সহিংসতার পর রাজ্যপাল সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।
পাঁচবছর আগে বিল পাস হয়েছে, তারপরেও কেন সই করেননি রাজ্যপাল? ব্যাখ্যা দিলেন আনন্দ বোস। ছবি: Subrata Goswami/DW

পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েকদিনে ১২টি গণপিটুনির ঘটনা সামনে এসেছে।তাতে মারা গেছেন পাঁচজন। সেই বিতর্কের মধ্যে আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে ওয়েস্ট বেঙ্গলস প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল।

২০১৯ সালের রাজ্য বিধানসভায় এই বিল পাস হয়। তারপর ৪ সেপ্টেম্বর বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য। রাজ্যপাল সই না করলে বিল আইনে পরিণত হয় না ও তা চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা যায় না।

সম্প্রতি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলে রাজ্যপাল সই না করায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।

রাজ্যপালের জবাব

মঙ্গলবার রাজ্যপাল এক্স-এ এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে প্রশ্নোত্তরের আকারে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

রাজ্যপালের দাবি, বিলটি আসার পর তার কিছু ব্যাখ্য়া রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। এখনো তার জবাব আসেনি। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে তা বকেয়া পড়ে আছে।

রাজ্যপাল বলেছেন, বিল পাস হওয়ার পর কংগ্রেস ও বামেরা সেসময়ের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাকে বলেন, বিলটি যে আকারে পেশ করা হয়েছিল এবং যেভাবে পাস করা হয়েছে, তার মধ্যে ফারাক আছে। খসড়া বিলে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ছিল না। সেটা পরে যোগ করা হয়।

রাজ্যপাল বলেছেন, ব্যাখ্যার জবাব রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আসেনি। তা সত্ত্বেও কেন স্পিকার বললেন, বিলটি রাজ্যপালের কাছে পড়ে আছে।

তিনি আরো বলেছেন, এখন একটা নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। রাজ্যপাল ব্যাখ্যা চাইলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এসে সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেন। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিলে সই করে দেয়া হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারকে তো তার জন্য ব্যাখ্যা দিতে হবে।

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, ''দুই পক্ষই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এখন আর বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক অনর্থক। রাজ্যে এখন এত গণপিটুনির ঘটনা ঘটছেরাজ্য সরকার দ্রুত ব্যাখ্যা দিয়ে দিক। রাজ্যপাল তো বলে দিয়েছেন, তার কাছে গিয়ে ব্যাখ্যা দিলে এখন সঙ্গে সঙ্গে তা সই করার ব্যবস্থা চালু হয়েছে।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)