পর্যটকদের আকর্ষণ করে জার্মানির যে দ্বীপগুলি
জার্মানিতে প্রায় ৮০টি দ্বীপ রয়েছে এবং বেশিরভাগের অবস্থান পূর্বে বাল্টিক সাগর এবং পশ্চিমে উত্তর সাগরে৷ এই ছবিঘরে জার্মানির দ্বীপপুঞ্জের কিছু নমুনা পাওয়া যাক৷
জার্মানির উত্তরে
উত্তরে শ্লেসভিক হলস্টাইন রাজ্যের পশ্চিম উপকূলের কাছে ওয়াডেন সাগরে অবস্থিত উত্তর ফ্রিসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কিছু দ্বীপ৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় দ্বীপ স্যুল্ট জার্মানি থেকে ডেনিশ উপকূল পর্যন্ত প্রসারিত৷ এখানকার মানুষরা ইংরেজি, ডেনিশ এবং ডাচ ভাষার মিশ্রণে অদ্ভুত এক আঞ্চলিক ভাষা ‘স্যালরিং’-এ কথা বলে৷
গভীর সাগরের গ্ল্যামার
নিউইয়র্কের হ্যামস্টনস যেমন,জার্মানিতে স্যুল্ট-ও তেমনি দ্বীপ৷ জার্মানির এলিট শ্রেণি এবং পর্যটকরা আসেন রেড ক্লিফ-এর মতো একটি ক্লাবে গ্ল্যামার উপভোগ করতে এবং সেলিব্রেটিদের দেখার জন্য৷
রুগেন দ্বীপের দুর্লভ সময়
জার্মানির রুগেন দ্বীপের অবস্থান জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বাল্টিক সাগরের কাছাকাছি৷ ২০১৩ সালে এই দ্বীপে এক কোটিরও বেশি মানুষ রাত কাটান৷ এখানে আলোকসজ্জ্বায় সজ্জিত সাগরপাড়ের অবসর যাপন কেন্দ্র সেলিন-এ পর্যটকরা আনন্দের সাথে কনসার্ট উপভোগ করেন৷
মধ্যযুগীয় উত্তরাধিকার
রাইশেনাউ দ্বীপটির অবস্থান জার্মানির দক্ষিণের সীমান্তে অবস্থিত লেক কন্সটানৎস-এর কাছাকাছি৷ এই দ্বীপটি আবিষ্কৃত হয় ৭২৪ সালে আর ২০০২ সাল থেকে এটি বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত৷
নেদারল্যান্ডস-এর উত্তরে
ঐতিহাসিক দলিলপত্রে সরকারিভাবে বরকুম দ্বীপের প্রথম উল্লেখ দেখা যায় ১৩৯৮ সালে৷ সে সময় দ্বীপটি ছিলো জলদস্যুদের স্বর্গ৷ বর্তমানে উত্তর সাগরের এই দ্বীপে বসবাস করে আনুমানিক পাঁচ হাজার মানুষ৷ হোটেলগুলোর অবস্থান একেবারে সাগরের গা ঘেঁষে৷ ১৮৩০ সাল থেকে এই সমুদ্র সৈকত অবসর যাপন কেন্দ্র৷
হেলগোলান্ড-এর প্রাকৃতিক টাওয়ার
জার্মানির উপকূল থেকে একমাত্র হেলগোলান্ড দ্বীপে যেতেই নৌকায় প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে৷ পরিবেশ রক্ষার জন্য এখানে গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ৷ বালির পাথর ‘টল আনা’ এই দ্বীপের বড় চিহ্ন৷