1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পপ সংগীতের প্রতীক পুরুষ আজম খান

৯ জুন ২০১১

বাংলাদেশ সংগীত জগতের ‘পপ গুরু' হিসেবে খ্যাত আজম খান চির বিদায় নিলেন পাঁচ জুন৷ দেশজ লোকসংগীত, পল্লিগীতি, আধুনিক অথবা সমাজ সচেতন গানের সাথে পপ শৈলীর মিশ্রণ দিয়ে গানের এক বিরাট সম্ভার রেখে গেলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/11XLg
Symbolbild Konzert
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/photocreo

আজম খান ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক৷ বাংলাদেশে পপ সংগীতের অন্যতম পথপ্রদর্শক৷ তাঁর চটুল পপ আঙ্গিকের সংগীত বাংলাদেশের যুব সমাজের কাছে পেয়েছে বিপুল সমাদর৷ শুধু বাংলাদেশেই নয় গোটা উপ মহাদেশেও আজম খান পেয়েছেন অসাধারণ জনপ্রিয়তা৷

আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়৷ আসল নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান৷ স্কুল শিক্ষার পর ১৯৭০ সালে ঢাকার টি.এন.টি কলেজ থেকে স্নাতক লাভ করেন৷ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হাতে অস্ত্র তুলে নেন তিনি৷ স্বাধীনতার পর অস্ত্র ফেলে কন্ঠে তুলে নেন সংগীত৷‘উচ্চারণ' শিল্পী গোষ্ঠী নিয়ে সংগীত জগতে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ৷ সত্তরের প্রথমার্ধে বংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয় তাঁর প্রথম কনসার্ট৷ তার পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশ জুড়ে৷ ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলা পপ সংগীতের এক প্রতীক পুরুষ৷

বিশ্বের বেশ ক'টি দেশে কনসার্ট পরিবেশন করেন আজম খান৷ এসব কনসার্টে শুধু প্রবাসী বাঙালিই নয় বহু বিদেশী সংগীতানূরাগীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি৷ বাংলা সংগীতের নানা ধারার গান পপ আঙ্গিকে গেয়েছেন আজম৷

খুব সহজ সরল জীবন যাপন করতেন তিনি৷ যদিও ১৭ টিরও বেশি হিট গানের অ্যালবাম বেরিয়েছে বাজারে৷ কয়েক মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে৷ কিন্তু কপিরাইটের কারচুপির কারণে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা তাঁর ছিল না৷ আর এই টাকার অভাবেই সিঙ্গাপুরে ক্যান্সারের চিকিৎসা হতে পারেনি৷এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুরারোগ্য ব্যাধির সংগে লড়াই করে অবশেষে পাঁচ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা পপ সংগীতের এক পথ প্রদর্শক আজম খান৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান