পদত্যাগের পরও প্রধানমন্ত্রী মাহাথির
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০এসব আলোচনায় মাহাথির সাংসদদের কাছে একটি মহাজোট সরকার গঠনের প্রস্তাব করেন বলে জানা গেছে৷
তবে বিরোধী দলগুলো মাহাথিরের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে৷ ‘‘আমরা সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷ জনগণকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত,'' বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের আনুয়ার মুসা৷ এই সময় আরও তিনটি বিরোধী দলের সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷
১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্ব করা মাহাথির ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে আবারও ক্ষমতায় গিয়েছিলেন৷ ঐ নির্বাচনের আগে তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন৷ আনোয়ার ইব্রাহিম একসময় মাহাথিরের অর্থমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এবং তাঁকে মাহাথিরের উত্তরসূরি বিবেচনা করা হতো৷ কিন্তু ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আনোয়ারকে বরখাস্ত করেন মাহাথির৷ এরপর সমকামিতা আর দুর্নীতির দায়ে তাঁকে কারাদণ্ডও দেয়া হয়৷
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আনোয়ারের দলের সঙ্গে জোট বাঁধেন মাহাথির মোহাম্মদ৷ তাঁদের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়৷ এতে বলা হয়, নির্বাচনে জিতলে মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং আনোয়ারকে কারামুক্ত করে দুই বছরের মধ্যে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ তৈরি করবেন৷
আগামী নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অ্যাপেক সম্মেলনের পর আনোয়ারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন মাহাথির৷
তবে আনোয়ারের দলের একাংশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারের জায়গায় আজমিন আলীকে চাইছিলেন৷ তাঁরা সপ্তাহান্তে আনোয়ারকে বাদ দিয়ে একটি সরকার গঠনের চেষ্টা শুরু করেছিলেন৷ বিরোধী নেতারাও এতে অংশ নেন৷ অবশ্য সোমবার সকালের মধ্যে সেই সম্ভাবনা মিইয়ে আসে৷
এরপর স্থানীয় সময় দুপুর একটায় মাহাথির মোহাম্মদ রাজার কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠান৷ তার আগে মাহাথিরের দল আনোয়ারের সঙ্গে গড়ে তোলা জোট থেকে সরে আসার কথা জানায়৷ আনোয়ারের দলের ১১ সাংসদও পদত্যাগ করেন বলে জানানো হয়৷
এরপর বিকালে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত মাহাথিরকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন দেশটির রাজা৷
এছাড়া সরকার গঠনের লক্ষ্যে দেশটির ২২১ সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানান তিনি৷ কারণ নিয়ম অনুযায়ী, সংসদে বেশিরভাগ সাংসদের সমর্থন থাকা ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়ে থাকেন রাজা৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)