পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১সন্ধ্যায় জাতীয় টেলিভিশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সোলায়মান জানালেন হোসনি মুবারকের বিদায়ের কথা৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তাহারির স্কোয়ারে লাখো জনতার ঢল নামে৷ বিজয়ের আনন্দের উৎফুল্ল তারা৷
জানুয়ারী মাসের ২৫ তারিখ থেকেই সারা বিশ্বের চোখ ছিল মিশরের দিকে৷ কায়রোয় প্রায় দু'হাজার বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং বেতারকেন্দ্রের ভবনটি অবরোধ করে লোকজনকে ঢুকতে-বেরতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল৷ আল-জাজিরার খবর অনুযায়ী উত্তরে আলেক্সান্ড্রিয়া শহরে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সামনেও ছিল একই দৃশ্য৷ জুম্মার নামাজের পরেই প্রাসাদ অভিমুখে মিছিল করে হাজার হাজার মানুষ৷
এর আগে, আল-আরাবিয়া টেলিভিশনের যে খবরটা সকলকেই চমকে দিয়েছিল, সেটা হল: মুবারক সপরিবারে কায়রোর উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে বিমানযোগে লোহিত সাগরের উপকূলবর্তী সৈকতাবাস শর্ম-এল-শেইখে যাত্রা করেছেন৷ সেখানেও তাঁর একটি প্রাসাদ আছে৷
ওদিকে কায়রোতেও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সামনে এখন উল্লসিত জনতা৷ বস্তুত দেশ জুড়ে দশ লক্ষ মানুষ পথে নেমেছে আনন্দ করতে৷ তাহরির চত্বরে জুম্মার নামাজের পর মৌলানারা স্বয়ং মানুষজনকে উৎসাহিত করেছেন৷ প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সামনে মানুষজন সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির পাশেই নামাজ পড়েছে৷ মূল কথা হল, কোনো এক আশ্চর্য উপায়ে যেন এই আন্দোলনের সূচনার সেই প্রেরণা, সেই উদ্দীপনা আবার ফিরে এসেছে৷ বলতে কি, উৎসবের পরিবেশ, অথচ মানুষজনের মুখে বিপ্লবের ধ্বনি৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার