1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদত্যাগ করতে রাজি, বললেন জেলেনস্কি

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইউক্রনকে ন্যাটো প্রতিনিধি করার জন্য প্রয়োজনে পদত্যাগ, জানালেন জেলেনস্কি। কড়া বার্তা ডনাল্ড ট্রাম্পকেও।

https://p.dw.com/p/4qxHe
ভলোদিমির জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিছবি: Tetiana Dzhafarova/AP Photo/picture alliance

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ন্যাটোয় ইউক্রেনের স্থায়ী আসনের জন্য চাপ তৈরি করছেন দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। বস্তুত, ন্যাটোর সদস্যদের মধ্যেও এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর স্থায়ী সদস্য করার জন্য যদি তাকে পদত্যাগ করতে হয়, তিনি রাজি আছেন।

এদিন ট্রাম্পকেও এক হাত নিয়েছেন জেলেনস্কি। জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন ডনাল্ড ট্রাম্পের অ্যামেরিকা ইউক্রেনের সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে। কেবলমাত্র যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে না।

জেলেনস্কি একথা বলেছেন কারণ, সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, ইউক্রেনই এই যুদ্ধ শুরু করেছে। জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী বলেও অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, সে কারণেই ইউক্রেনে এবার নির্বাচন হতে দেননি দেশের প্রেসিডেন্ট।

জেলেনস্কি এদিন বলেছেন, ''ট্রাম্পের অ্যামেরিকা কেবলমাত্র এক মধ্যস্থাকারীর ভূমিকা পালন করলে চলবে না। আপাতত ট্রাম্প সে কাজটিই করছেন।''

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন যে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে তিনি রাজি নন। কিন্তু ট্রাম্পের বক্তব্য,ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধ বন্ধ করার রাস্তা খোঁজা এবং একটি সমঝোতায় পৌঁছানো।

নিরাপত্তা প্রয়োজন

রোববার ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বছর। সাংবাদিক বৈঠকে জেলেনস্কি বলেছেন, অ্যামেরিকাকে বুঝতে হবে যে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা প্রয়োজন। ইউক্রেনকে বাঁচানোর জন্য অ্যামেরিকার সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ। জেলেনস্কির দাবি, অ্যামেরিকা তার বদলে ইউক্রেনের কাছ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ নেয়। এটাই দুই দেশের চুক্তি। বস্তুত, ট্রাম্পের প্রতিনিধি সম্প্রতি ইউক্রেন গেছিলেন। রোববার সেই স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে সম্প্রতি অ্যামেরিকার একটি চুক্তি হয়েছে। অ্যামেরিকাকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ দিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে উইটকফের বক্তব্য, ''রফাসূত্র খুঁজে বার করতে হলে দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছেন। তিনি দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসানোর চেষ্টা করছেন।''

জেলেনস্কির বক্তব্য, অ্যামেরিকাকে ইউক্রেনের পক্ষে থাকতে হবে। এবং সেই মতোই সাম্প্রতিক চুক্তি সই হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)