1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৃণমূলে বিদ্রোহ!

২১ জুন ২০২৩

একের পর এক বিধায়ক কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন তৃণমূলের অন্দরে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অন্তর্কলহে জেরবার শাসকদল।

https://p.dw.com/p/4Srya
পঞ্চায়েত ভোট
ছবি: Subrata Goswami/DW

উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ-- পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদলের ভিতরে অন্তর্কলহ চরমে। একের পর এক বিধায়ক দলের হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন। প্রকাশ্যে দলের নিন্দা করছেন।

গত বিধানসভা ভোটের সময় দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে হুগলির বলাগড়ে টিকিট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মনোরঞ্জন সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দলের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তিনি অব্যাহতি চান। এক, জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্যপদ এবং দুই, দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ। সরাসরি কোনো কারণ না দেখালেও ব্যক্তিগত স্তরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে তার রোষ গোপন করেননি মনোরঞ্জন।

বলাগড়ের এই বিধায়ক লিখেছেন, নিজের বিধায়ক পদও তিনি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আপাতত তার রোজগারের অন্য কোনো রাস্তা না থাকায় এখনই এই পদ তার পক্ষে ছাড়া সম্ভব হবে না। তবে তিনি একইসঙ্গে জানিয়েছেন, দলীয় রাজনীতির এই মঞ্চ তার জন্য নয়। কিছুদিন আগে মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বিলি করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের অন্দরেই। বিষয়টি নিয়ে ব্লক স্তরের এক নেতাকে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন মনোরঞ্জন।

শুধু মনোরঞ্জন ব্যাপারী নন, উত্তরবঙ্গের অন্যতম নেতা ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করমি চৌধুরী কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ থাকে। পঞ্চায়েত ভোটে যাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি।

আব্দুল করিমের পথেই হাঁটছেন মুর্শিদাবাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। জেলার সাংগঠনিক সভাপতি শাওনী সিংহ রায়ের অপসারণ চেয়েছেন তিনি। বহরমপুরে দলের দলীয় কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন হুমায়ুন। নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বস্তুত, তৃণমূলের এই নেতারা যে অভিযোগগুলি সামনে আনছেন, রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সেই অভিযোগ সাধারণত শাসকদলের বিরুদ্ধে করে থাকে। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দলের মুখপাত্র তাপস রায় জানিয়েছেন, ''সব নেতারই পছন্দের প্রার্থী থাকে। দল সমস্ত দিক খতিয়ে প্রার্থী তালিকা তৈরি করে। তা নিয়ে সমায়িক ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়। কিন্তু বিষয়টি বেশি দূর গড়াবে না।''

অধীরের অবস্থান বিক্ষোভ

মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী। অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের চিহ্ন চিহ্নিতকরণের ফর্ম নিয়ে বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা। দুষ্কৃতীরা তার হাত থেকে ফর্মের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ওই ফর্ম জমা দেওয়া যায়নি। এর অর্থ ওই প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে লড়তে পারবেন না। অধীরের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। বিডিও এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন অধীর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত থেকে টানা অবস্থান চালাচ্ছেন লোকসভার নেতা। পাশাপাশি লোকসভার স্পিকারকেও এবিষয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)