1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পঞ্চমীতেও চলছে অনশন, কাজে ফেরার আবেদন রাজ্যের

৮ অক্টোবর ২০২৪

পুজো শুরু হয়ে গেলেও উঠছে না জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন। বরং তা আরো তীব্র হচ্ছে। কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য।

https://p.dw.com/p/4lWME
বৌবাজার থানার সামনে প্রতিবাদ
বৌবাজার থানার সামনে প্রতিবাদীরাছবি: Subrata Goswami/DW

সোমবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চের থেকে খানিক দূরে বৌবাজার থানা চত্বরে উত্তেজনা তৈরি হয়। চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাদের অনশন মঞ্চে কয়েকটি চৌকি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সাইকেল ভ্যানে করে সেই চৌকি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। চৌকিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরই প্রতিবাদেধর্মতলা চত্বর থেকে বিপুল পরিমাণ আন্দোলনকারী বৌবাজার থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। থানার সামনে প্রায় তিন ঘণ্টা বসে থাকেন তারা।

এরপর পুলিশ তাদের চৌকিগুলি দিয়ে দেয়। সাইকেল ভ্যানও ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবাদস্বরূপ ঘাড়ে করে ওই চৌকিগুলি অনশন মঞ্চে নিয়ে যান প্রতিবাদীরা।

এই চৌকিগুলিই বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ
বাজেয়াপ্ত খাটছবি: Subrata Goswami/DW

আন্দোলন আরো তীব্র

প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন হবে। অর্থাৎ, মেডিক্যাল কলেজগুলির অবস্থান মঞ্চে ১২ ঘণ্টার অনশন করবেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তাররা যে অনশন শুরু করেছেন, তা চলতে থাকবে।

দাবি আদায় না হলে অনশন উঠবে না। বস্তুত, ধর্মতলার অনশন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অনেকেই একে রিলে অনশন বলছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। যে কয়জন সেখানে অনশন করছেন, তারা জল ছাড়া আর কিছু খাচ্ছেন না। রিলে নয়, আমৃত্যু অনশনে বসেছেন তারা।

চৌকি নিয়ে অনশন মঞ্চে
চৌকি কাঁধে নিয়ে অনশন মঞ্চে প্রতিবাদীরাছবি: Subrata Goswami/DW

মুখ্যসচিবের আর্জি

এদিকে সোমবারই নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এদিন 'নরমে গরমে' জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি বেশ কিছু আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, অনেক জুনিয়র ডাক্তারই কাজে ফিরেছেন। যারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তারাও যেন কাজে যোগ দেন। নইলে তাদের বিরুদ্ধে 'কারবাই' অর্থাৎ, ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পন্থ। জুনিয়র ডাক্তাররা পাল্টা জানিয়েছেন, কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা তারা দেখতে চান।

মনোজ এদিন জানিয়েছেন, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আদালত যে সংস্কারের কাজ করতে বলেছে, তা ১০ তারিখের মধ্যে ৯০ শতাংশ হয়ে যাবে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন।

পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো রেফারেল সিস্টেম নিয়েও কাজ এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১ নভেম্বর থেকে তা চালু করা সম্ভব হবে বলে এদিন দাবি করেছেন তিনি। এরপরেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন জানান মনোজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাদের সমস্ত দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্ন নেই।

সিবিআইয়ের চার্জশিট

এদিকে সোমবারই আদালতে আরজি কর মামলার প্রথম চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সেখানে ধৃত সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অন্য কোনো ব্যক্তির নাম সরাসরি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ঢোকানো হয়নি। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)