1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোয় ফিনল্যান্ড, মেনে নিল তুরস্ক

৩১ মার্চ ২০২৩

তুরস্কের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান মেনে নিল। এরপর আর ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদানে কোনো বাধা থাকল না।

https://p.dw.com/p/4PWm3
তুরস্ক
ছবি: Emin Sansar/AA/picture alliance

গত সপ্তাহে হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট সবুজ সংকেত দিয়েছিল। ৩০ সদস্যের ন্যাটোয় কেবলমাত্র বাকি ছিল তুরস্ক। তুরস্ক তাদের পক্ষে ভোট না দিলে ন্যাটোয় যোগদান অসম্ভব ছিল ফিনল্যান্ডের। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনো দেশকে ন্যাটোয় যোগ দিতে হলে সমস্ত সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন। তুরস্ক শেষ দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদানে শিলমোহর লাগালো।

ফিনল্যান্ডকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানিয়েছিল তুরস্ক। প্রায় এক বছর ধরে আলোচনার পর এই মাসের গোড়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ফিনল্যান্ডের যোগদানের বিষয়ে তাদের আর কোনো আপত্তি নেই। এদিন পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতেও তার প্রতিফলন দেখা গেছে। সমস্ত এমপি ফিনল্যান্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এরপর ৩১তম ন্যাটো দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের যোগদান কেবল সময়ের অপেক্ষা।

এর আগে সমদূরত্ব নীতি অবলম্বন করতো এই নরডিক রাষ্ট্র। কোনো সামরিক জোটে তারা অংশ নিত না। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর নীতি পরিবর্তন করে ফিনল্যান্ড। ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখায়। বস্তুত, রাশিয়ারসঙ্গে ১৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে ফিনল্যান্ডের। ফলে, রাশিয়াকে ভয় পাচ্ছে তারা। সে কারণেই দ্রুত ন্যাটোয় যোগ দিতে চেয়েছিল তারা।

এদিন তুরস্কের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সুইডেনের অবস্থান

ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সুইডেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চেয়েছিল। সুইডেনের রাস্তা অবশ্য এত মসৃণ নয়। তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই সুইডেনের যোগদান মেনে নেবে না। কারণ, তুরস্কের 'জঙ্গিগোষ্ঠী'কে সমর্থন করে সুইডেন. তুরস্কের অভিযোগ, কুর্দ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুইডেন জঙ্গি বলে মানতে চায় না। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি সুইডেনে কোরান পোড়ানোর ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছে তুরস্ক। গোটা বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটোর দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। কী করে বিষয়গুলির সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সুইডেন জানিয়েছে, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার বিষয়ে তারা এখনো আশাবাদী।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)