1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিয়োগ সরকার নয়, পিএএসসি দেয়: এম এ মান্নান

৬ জুলাই ২০২৪

সরকার নয়, সরকারের চাহিদা অনুযায়ী পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) নিয়োগ দেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান৷

https://p.dw.com/p/4hwy1
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে অতিথি হিসেবে আছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

সরকার ইচ্ছামতো নিয়োগ দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সরকারের প্রতি অবিচার বলেও মনে করেন তিনি৷

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ‘ডিডাব্লিউ খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন৷

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় এদিনের আলোচনায় আরো যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল৷ 

এম এ মান্নান বলেন, ‘‘চাকরি কিন্তু সরকার দিচ্ছে না৷ চাকরি দেয় আইনের আওতায় পিএসসির মাধ্যমে৷ সরকার অনলি রিকুয়ারিং বডি, যে আমার এই এই লোক চাই৷ আইন সুনির্দিষ্ট আছে৷ পিএসসি রিক্রুট করে৷ পিএসসি রিক্রুট করে সরকারকে লোক দেয়৷ সুতরাং এখন যদি বলা হয়, সরকার তার ইচ্ছামতো রিক্রুট করছে, এটা সরকারের প্রতি বোধহয় অবিচার করা হবে৷''

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট৷ সরকারি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রবর্তনের উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট৷

সরকার বিরোধীরা বিচার বিভাগের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার আবার কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ড. আসিফ নজরুল৷ তবে, এমন অভিযোগের সুযোগ সরকার করে দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি৷

আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘সরকারের অধিকার সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি দ্বারাও সীমাবদ্ধ৷''

এক হাজার পৃষ্ঠার গণপরিষদ বিতর্কের একটা জায়গাতেও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চাকরি বিশেষ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়নি বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন আইনের এই অধ্যাপক৷

আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘ক্ষুব্ধ হয়েই কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷''

এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে এম এ মান্নান বলেন, ‘‘সরকারপ্রধান কখন কিভাবে সিদ্ধান্ত নেন, তার নিজস্ব ওয়ে আছে, নিজের বৈশিষ্ট্য আছে, তার অ্যাডভাইজররা আছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি৷ সুতরাং ওখানে আমার মন্তব্য করার কিছু নেই৷ আমি সরকারে ছিলাম৷''

মান্নান বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছুর সঙ্গে একমত নই৷ কিন্তু আমাদের সিভিল সোসাইটিকে, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্যের প্রয়োজন আছে৷''

আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক' হিসাবে চিহ্নিত না করার আহ্বান জানিয়ে মান্নান বলেন বলেন, ‘‘এটাকে পলিটিসাইজ না করে, এবং সরকারকে কোনো ধরনের সন্দেহ না করে যে সরকারের শর্টটার্ম কোনো আগ্রহ এখানে আছে ক্রিয়েট করার, আমি তা মনে করি না৷ সরকারও সৎ উদ্দেশে কাজ করেছে, এখানে ওখানে হয়তো ব্যত্যয় হতে পারে৷''

টিএম/এআই