1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিলামে বিক্রি হলো আইফেল টাওয়ারের সিঁড়ি

২৮ নভেম্বর ২০১৮

প্যারিসের বিখ্যাত ‘আইফেল টাওয়ার'-এর সিঁড়ির কিছু অংশ আগেই নিলাম হয়েছিল৷ গত মঙ্গলবার তৃতীয় ও চতুর্থ তলার সংযোজক সিঁড়িটিও নিলাম হলো৷ সিঁড়িটি কিনেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এক ক্রেতা৷

https://p.dw.com/p/392kw
Treppenstück des Eiffelturms wird versteigert
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Euler

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বেড়াতে গিয়ে আইফেল টাওয়ার দেখেননি, এমন মানুষ পাওয়া বিরল৷ অধিকাংশ পর্যটকেরই আগ্রহ থাকে লিফটে চড়ে টাওয়ারের চূড়ায় উঠে প্যারিসের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার৷

কিন্তু ১৮৮৯ সালে যখন ফরাসী ডিজাইনার গুস্তভ ইফেলের নকশায়টাওয়ারটি নির্মিত হয়, তখন লিফট ছিল না, ছিল লোহার সিঁড়ি৷ ১৯৮৩ সালে পর্যটকদের সুবিধার জন্য লিফট চালু হলে ঐতিহ্যবাহী এই সিঁড়ির বেশ কয়েকটি অংশ কেটে ফেলা হয়৷ বর্তমানে এই সিঁড়ির অংশ রয়েছে ফ্লোরিডার ‘ডিজনিল্যান্ড', নিউ ইয়র্কের ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি'র পাশে ও জাপানের ইওইশি ফাউন্ডেশনের বাগানে৷

এতদিন নিলাম হওয়া ঐতিহাসিক এই সিঁড়ির অংশটি ক্যানাডার একটি ব্যক্তিগত সংকলনে রাখা ছিল৷ নিলামের আগে ২০ দিন ধরে প্যারিসের বিখ্যাত উদ্যান ‘শঁজেলিজে'-তে প্রদর্শিত হবার পর, সিঁড়িটি ১৬৯,০০০ ইউরো দামে বিক্রি হয়৷ লোহার তৈরি সিঁড়ির এই অংশে রয়েছে ২৫টি ধাপ ও মোট উচ্চতা ১৪ ফুট৷ আগাগোড়া লোহায় তৈরি হবার কারণেই স্থানীয় মানুষ এই টাওয়ারকে ‘আয়রন লেডি' বা লৌহমানবী বলে ডাকেন৷

নিলাম সংস্থা ‘আর্টক্যুরিয়াল' জানিয়েছে বিক্রি হওয়া সিঁড়ির অংশের ওজন ৯০০ কিলোগ্রাম৷ বিশেষজ্ঞরা যত দামে বিক্রি করার আশা করেছিলেন, তার তিনগুন দামে বিক্রি হওয়ায় এই সিঁড়ি ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা৷ উল্লেখ্য, এর আগে এই সিঁড়িরই আরেকটি অংশ বিশেষজ্ঞদের চমকে দিয়ে দশগুন দামে (৫২৩,৮০০ ইউরো) বিক্রি হয়!

অন্য কোনো পর্যটনস্থানের তুলনায় আইফেল টাওয়ার দেখতেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পর্যটক প্যারিসে যান৷ ফলে, এই স্থাপত্যের অংশ সিঁড়িটি যে নিলামে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হবে, তা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স/ডিপিএ/এএফপি)